সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গোপন রেকর্ডিং ছড়িয়ে পড়ার পরপরই রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। জানা গেছে, ঐ রেকর্ডিংয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আরো কয়েকজনকে নিয়ে কটূক্তি ও বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। আর এরই জের ধরে এরই মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পরই রোববার (৩ অক্টোবর) বিকেলে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।
মুঠোফোনে তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারাই একটি কথাকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এডিট করে ভিন্নভাবে ফেসবুকে দিচ্ছে। সেজন্য দল আমাকে সে বিষয়ে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অবশ্যই আমি সেটা মাথা পেতে নেব। আমি জানি, আমি কোনো অন্যায় করিনি, আমার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অপপ্রচারের এটা আরেকটা ষড়যন্ত্র।
তিনি বলেন, ’যার মাধ্যমে আমি স্বাধীন দেশ ও সবুজ একটি পতাকা পেয়েছি সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে ছাত্র রাজনীতি থেকে আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন। আমি এ দলের সাথে, আমার নেতৃত্বের সঙ্গে এবং জাতির পিতার সাথে কোনো ধরনের কটূক্তি করতে পারি না। আমি আশা করবো, যারা অপপ্রচার, মিথ্যাচার করছে-তারা নিজেরাই অবশ্যই সংশোধন হবেন। আমার কাছে জাতির পিতা এবং আওয়ামী লীগ আমার প্রাণ।’
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দলের সিদ্ধান্ত মেনে দলের কাছে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জবাব দেবেন বলেও জানান তিনি।
দায়িত্ব গ্রহণ করার পর গাজীপুরের ধারাবাহিক উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি পক্ষ এসব ষড়যন্ত্র করছে বলেও দাবি করেন মেয়র জাহাঙ্গীর।
রোববার (০৩ অক্টোবর) দলের পক্ষ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে ১৫ দিনের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা এ অভিযোগ রীতিমতো অস্বীকার করেছেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। সংবাদের মাধ্যমের কাছে তিনি জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঐ রেকর্ডিং ছড়িয়ে দেউআর মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করা হচ্ছে।