Sunday , November 10 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবনের জন্য অন্তসত্মা হওয়া সেই নারীকে নিয়ে এবার তাসলীমা নাসরীনের মন্তব্য সাড়া ফেললো অনলাইনে

নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবনের জন্য অন্তসত্মা হওয়া সেই নারীকে নিয়ে এবার তাসলীমা নাসরীনের মন্তব্য সাড়া ফেললো অনলাইনে

সম্প্রতি এক বাবা তার মেয়েকে নিথর করে বিদ্যুতের খুঁটিতে চাপা দিয়ে রাখে।  এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়।  কৌতূহলবশত অনেকেই জানতে চেয়েছেন কেন এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।  ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছেন,  ওই নারী বিবাহ বিচ্ছেদের পরে নিজ পরিবারে এসে থাকতে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে খারাপ ছেলেদের সাথে মেলামেশা শুরু করে।  মা/ দকসহ অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েছে।  এক পর্যায়ে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।  এ ঘটনায় তার বাবা জানতে পেরে তার সাথে এমন অপ্রত্যাশিত কান্ড ঘটায়। এ বিষয়গুলো নিয়ে এবার কথা বললেন তাসলিমা নাসরিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মন্তব্য বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছে। 

নতুন খবর রংপুরের পীরগাছায় মেয়েকে হ/ ত্যা করে বিদ্যুতের খুঁটির নিচে চাপা দেয়া বাবা নিজেই মামলা করেছেন। রফিকুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন যে, মেয়ের অসামাজিক কার্যকলাপে বিরক্ত হয়ে তিনি এ হ/ ত্যাকাণ্ড করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় ছাত্রীকে হ/ ত্যার বর্ণনা দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। মেয়েটির নাম লিপি। লিপির বাবা লিপিকে বিয়ে করেন পুলিশে চাকরি করা ছেলেকে। কিন্তু তার অভিযোগ লিপির কারণে সেই বিয়ে টেকেনি। বিবাহ বিচ্ছেদের পর লিপি এলাকায় এসে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। গ্রামে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। একপর্যায়ে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকার সাভারে একটি পোশাক কারখানায় কাজে পাঠানো হয়। গত ঈদে লিপি ঢাকা থেকে বাসায় আসলে রফিকুল ইসলাম জানতে পারেন লিপি অন্তঃসত্ত্বা। এরপর এক গভীর রাতে লিপিকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হ/ ত্যা করা হয়। তাকে হ/ ত্যার পর পাশের একটি ধানক্ষেতে পুঁতে রাখে। কিন্তু দুই দিন পর লাশ কেউ দেখলে বিপদ হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন রফিকুল ইসলাম। যদিও তিনি তার মেয়ের বিপদ চান, নিজের বিপদ চান না। তাই মেয়ের লাশ ধানক্ষেত থেকে সরিয়ে আরও দূরে পুঁতে রাখা হয়। পুলিশ জানায়, ২৫ জুলাই সকালে সমতল জমিতে বৈদ্যুতিক খুঁটির কাছে মাটির উঁচু ঢিবি দেখে সন্দেহ হয় কয়েকজনের। কৌতূহলী লোকেরা মাটি খুঁড়ে মানবদেহের অংশ খুঁজে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মাটির নিচ থেকে লিপির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে পুলিশ জানতে পারে লাশটি রফিকুল ইসলামের মেয়ে লিপির।

খবরটা পড়ছিলাম আর পুরো ঘটনাটা চোখের সামনে দেখতে পেলাম। রফিকুল ইসলাম তার মেয়ে সম্পর্কে বলেন, সে মা/ দক সেবন করতো এবং অসামাজিক কাজ করতো। এখানে অসামাজিক কাজ বলতে যা বোঝায় তা অবশ্যই পুরুষদের সাথে আড্ডা দেওয়া, পুরুষদের সাথে প্রেম করা এবং পুরুষদের সাথে ঘুমানো। এগুলো মেয়েদের জন্য অসামাজিক কার্যকলাপ। পুরুষরা যদি নারীদের সাথে ঘুরে বেড়ায়, নারীদের সাথে প্রেম করে, তাদের সাথে শুয়ে থাকে, তাহলে পুরুষদেরকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার জন্য দোষ দেওয়া হতো না। রফিকুল ইসলাম নিজের ছেলেকে দোষ দেননি। কিন্তু তার ছেলে যদি চুরি করে, ছিনতাই করে, মেয়েদের শ্লীলতাহানি করে, ধ/ র্ষণ করে, কোনো মেয়েকে গর্ভধারণ করে বা নিরপরাধ মানুষকে মারধর করে, বেত্রাঘাত করে, মেয়েদের মুখে এসিড ছুড়ে দেয়, এমনকি কখনো কখনো মেয়েদেরকেও মেরে ফেলে, তাহলে হয়তো সে বলতেন ছেলেটি বিরোধী কাজ করছে। সামাজিক জিনিস, বা হয়ত তিনি তাও বলেননি, তবে তিনি ছেলেটির পক্ষে কথা বলতেন, তিনি যে কোনও উপায়ে ছেলেটিকে রক্ষা করতেন, ছেলেটিকে যে কোনও ধরণের শাস্তি থেকে বাঁচানোর জন্য তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করতেন। তারপর একবার ভালো পাত্রী দেখে ছেলেকে ধুমধাম করে বিয়ে দিলেন। শুধু রফিকুল ইসলামের পরিবারেই নয়, প্রতিটি পরিবারেই ছেলে-মেয়ের পার্থক্য অনেকটা একই রকম। নারীরা যা করে তা ‘অনৈতিক’, পুরুষ যা করে তা ‘অনৈতিক’ নয়।

রফিকুল ইসলাম বলেন, লিপি নে/ শা করত, সে কি দেশের সবাইকে বলেছে তার ছেলে নে/ শা করলে, ছেলেকে মেরে ফেলে মাটির নিচে পুঁতে? নিশ্চয়ই তিনি তা করতেন না। ছেলে নে/ শাগ্রস্ত হলেও, কোনো আয় রোজগার না করলেও, বেকার বাউন্ডুলে আসক্ত নষ্ট ছেলেকে খাওয়াতেন, শুধু ছেলে নয়, ছেলের স্ত্রী-সন্তানের ভরণ-পোষণের ভারও তিনি নিতেন। বাংলাদেশের অনেক পরিবারেই এমনটা হতে দেখেছি।

রফিকুল ইসলাম তার মেয়ে লিপির বিরুদ্ধে কথা বলে বা লিপিকে হ/ ত্যার পক্ষে যুক্তি দিয়ে আরেকটি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, লিপির কারণে লিপির বিয়ে ভেঙে গেছে। ধরা যাক তার ছেলে শামীমের বিয়ে যদি কোনো কারণে ভেঙ্গে যায়, তাহলে কি তার ছেলেকে দায়ী করবেন? নিশ্চয়ই না, মেয়ের জামাই বিয়ে ভেঙ্গে দিলেন। মেয়েদের দোষ দেওয়া, মেয়েদের নিন্দা করা, মেয়েদের ঘৃণা করা খুব সহজ। মিসোজিনিস্ট সমাজ এগুলোর প্রশংসা করে।

রফিকুল ইসলামের শাস্তি হতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয় না সে তার নিজের মেয়েকে নিজের হাতে খুন করার জন্য আফসোস করবে। লিপিকে মারতে সে অনেক লোক পাবে। তাই সে ভাববে সে ঠিক কাজ করেছে। তার কাজ দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হবেন যে তারা অনৈতিক ও অসামাজিক কাজ করলে নিজের মেয়েকেও রেহাই দেবেন না। আপনার নিজের বাবা যদি মেয়েদের হ/ ত্যা করে, আপনার নিজের ঘরে যদি মেয়েদের নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে নিরাপত্তা কোথায়? মেয়েরা আসলে বাড়ির বাইরে, রাস্তায়, অফিস-আদালতে, স্কুল-কলেজে, কোথাও নিরাপদ নয়। কত মানুষ মেয়েদের হাত-পা পিষে পিষে মেরে ফেলে বা গলায় পা চেপে শ্বাসরোধ করে। পৃথিবীতে বাবাই মেয়েদের জন্য নিরাপদ না হলে কে নিরাপদ? উত্তর একটাই, কেউ নেই।

প্রায় এক সপ্তাহ আগে আরেকটি খবর পড়েছিলাম। টাঙ্গাইলে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গণধ/ র্ষণের শিকার হয়েছেন এক কলেজছাত্রী। কলেজ ছাত্রীকে করটিয়া থেকে তার প্রেমিক আতিক তুলে নিয়ে গোসাই জোয়াইর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে স্কুল মাঠে কলেজছাত্রীকে ধ/ র্ষণ করে প্রেমিক ও তার বেশ কয়েকজন বন্ধু। তারা তাকে শুধু মাঠেই নয়, নদীর তীরেও ধ/ র্ষণ করে। এ সময় এলাকার লোকজন টের পেয়ে কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল হাসপাতালে ভর্তি করে। এটা কোন

পুরুষদের বিশেষ করে প্রেমিকদের! নিমন্ত্রণ লেখার জন্য আমাকে মনে মনে শুনতে হয়েছিল। লোকের বিছিরি ঘৃণার শিকার হতে হয়েছিল। আবালবৃদ্ধবনিতা বলেছে আমি অবাস্তব গল্প বলি, আমি পর্নোগ্রাফি দেখাছি, আমি পুরুষবিদ্বেষী ইত্যাদি। তারা আজ খুঁজে? এই যে অধিকারী প্রেমেরা বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঢুকছে, মুসলিম খবর বা খবর তারা কী বলে এখন? আমি অবাস্তব গল্প গান শোনা? আমি পুরুষবিদ্বেষী? ওজনের নির্মম নিষ্ঠুর বর্ণনা করে আমি পর্নোগ্রাফি শক্তি বলে? বাস্তবে নারীবিদ্বেষী আমাকে চিরকালই পুরুষবিদ্বেষী আখ্যা দিয়ে আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে এবং আমার দিকে ঢিল ছুঁয়েছে। নারীর ওপর নারীকে তারা কখনও বলে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের মা, স্ত্রী না বা সেই নারীর শিকার হয়। অবশ্য পার্টই বা ক’জনের চক্ষুখোলে? ফিকুল ইসলামের খুলতো, নিজের খুলকে খুলতে খুলতে না।

নিমন্ত্রণ নারীর মাধ্যমে আমি ছাত্রীদের বলতে চেষ্টা করে পুরুষের ‘ভালোবাসি’র সঙ্গে বিশ্বাস করা উচিত নয় যে তারা মনে মনে ভালোবাসে। নতুনের পর পুরুষদের পথ নিয়ে যেতে যেতে পারে বিশ্বাস করা উচিত নয় যে তাদের পাশে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ সময় তার সাথে মিশে যায়। কাকে বিশ্বাস করা যায়, কার উপর ভরসা করা যায়, তা আমরা আগে থেকে জানতে পারি না। মেয়েরা ‘প্রেম’ পছন্দ করে। তাই প্রেমের প্রেমের গল্প-উপন পুরুষের মতো, প্রেমের নাটক-সিনেমার পুরুষের মতো, তাদের প্রেমিক পুরুষে একই রকম প্রেমে দেওয়া। কিন্তু এক সময় অনেক টনক নড়ে, পায়। বিয়ে করার আগেও খবর পায়, বিয়ে করার পরেও পায়। অগত্যা প্রতিবন্ধকতাকে বাধা দিতে বাধ্য হয়।

সমাজ যদি হয় কঠোরভাবে পুরুষতান্ত্রিক, নারীকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা হয় পুরুষের অধীনতা, তবে পদে পদে আমরা নারীকে অনিরাপদ হতে দেখাবো। পুরুষকে নিয়ে বাস করতে হয়। আর এই নারীকে নারীকে এবং পরনির্ভর হতে সৃষ্টি করে, প্রার্থীর পর দল গঠন করে; যদি মনে হয় স্বরিণী এবং নরকার দ্বার মনে করে, স্বরৈর পর নারী মনে করে; তবে নারী কিন্তু পুরুষ না পুরুষের সময় নিজের অজান্তেই এবং পুরুষতন্ত্র দ্বারা প্রবলভাবে হয়। সে-কারকেও নারীর স্বাধীন অধিকারের বিরুদ্ধে অবিকলের মতো নারী হতে পারে। এটি নারী ও পুরুষের জন্য মঙ্গলজনক নয়। মানুষ নিজের সমাজকে সামনে নিয়ে যেতে বদলে ক্রমাগত অবস্থান নিচ্ছে, অথবা সেখানে থামিয়ে রাখছে। কাক-বিজ্ঞান এগিয়ে গেল, চিকিৎসা-বিজ্ঞান গবেষণা গেল, প্রযুক্তিগো এলো, শিল্প-সাহিত্য এলো, অর্থনীতি-রাজনীতির অনেক পরিবর্তন, উন্নতি, যেখানে সামাজিক ব্যবস্থা ছিল কিছু না করা, সমাজের সমাধানের জন্য বদল না, নারীর বৈষম্য, সেখানেই বহাল তবিয়তে রয়ে গেল। আমাদের কিন্তু পাসওয়ার্ড কাস্টম কাস্টিং মহিলাকে উর্ধ্বতনের মধ্যে, পরমুখাপেক্ষীতে, নারীকে দাবৃত্তির দায়িত্ব দিয়ে, নারীকে দেখা করে, সমাজের সত্যিকারের উন্নতি করা যায় না।

তাসলিমা নাসরিন বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে বেশ সমালোচিত হয় । তিনি একজন লেখক হওয়া সত্বেও বাংলাদেশ এবং ভারতের ঘটে যাওয়া ভাইরাল সব ঘটনা নিয়ে আলোচনা করে থাকেনঅ  অনেকে তাকে ভিন্ন চোখে দেখলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ফলোয়ারের কমতি নেই ।

About Nasimul Islam

Check Also

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলেই গণপিটুনি

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় গণপিটুনির শিকার হয়েছেন এক ব্যক্তি। রোববার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *