স্বামী বিদেশে থাকার সুবাদে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই নড়াইলের কোটাকোল গ্রামের এক যুবের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন জান্নাতুল বেগম নামে এক গৃহবধু। প্রথমে তাদের এ বিষয়টি কেউ বুঝতে না পারলেও গত সোমবার (১ আগস্ট) পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে ঐ গৃহবধুর পালিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় তোলপাড়।
গৃহবধূ দুই সন্তানের জননীও। এ ঘটনায় অসহায় হয়ে পড়েছে নিহতের পরিবার। এতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিশু ফাহিম (১১) ও মোহেমিন (৫) দিনরাত মায়ের জন্য কাঁদছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোটাকোল গ্রামের ইমরান খান (৩৮) জান্নাতুল বেগমের সঙ্গে মিথ্যা ভাই-বোনের সম্পর্ক তৈরি করে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে মোবাইলে তাদের প্রেম চলতে থাকে।
একপর্যায়ে তারা অজানা উদ্দেশ্যে দেশান্তরী হয়। ইমরান এলাকায় একজন বখাটে হিসেবে পরিচিত এবং সে আগে বিবাহ করিছিল তার প্রথম স্ত্রী তাকেও ছেড়ে চলে গিয়েছে এবং তার বাড়িতে একটি মেয়ে রয়েছে। পাপিয়া বেগম তার দ্বিতীয় স্ত্রী। সেখানেও দুই মাসের ছেলে সন্তান নিয়ে এখন দারে দারে ঘুরছে পাপিয়া।
প্রবাসী মনিরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, প্রবাসে থাকার সুবাদে ইমরান খান ও আমার শাশুড়ি রওশনারা বেগম ও আমার স্ত্রীর বড় বোন আরতী বেগম আমার স্ত্রীকে ফুসলে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় জান্নাতুল বেগম ৩২ লাখ টাকা ও ২১ পিস গয়না নিয়ে যান। দুই শিশু শুধু মায়ের জন্য কেঁদেছে। এ ঘটনায় মনিরুল ইসলামের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে লোহাগড় থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
এদিকে এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ইতিমধ্যে থানায় এমন একটি অভিযোগ এসেছে। আর এ অভিযোগের আলোকে তদন্ত চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।