Thursday , September 19 2024
Breaking News
Home / Exclusive / প্রেমের টানে রাশিয়া থেকে ক্যাসিনো সম্রাট সেলিমের কাছে আনা, মোলাকাত আদালতে

প্রেমের টানে রাশিয়া থেকে ক্যাসিনো সম্রাট সেলিমের কাছে আনা, মোলাকাত আদালতে

বর্তমান সময়ে অনেক অনলাইন ওয়েবসাইট এবং সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে একজন সাধারণ ব্যক্তি বিভিন্ন খেলায় বাজি ধরতে পারে বিদেশে অনেক ক্যাসিনো রয়েছে যেটা চিহ্ন গুলোর লাইভ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস অনলাইনে প্রদর্শন করে জোয়ার একটি প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করায় ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম সম্প্রতি তাকে আটক করেছে পুলিশ তার মামলায় এখন আদালতে চলমান অবস্থায় রয়েছে

 অনলাইন ক্যাসিনো রিংলিডার সেলিম প্রধানের সাথে সম্প্রতি দেখা করতে তার রাশিয়ান স্ত্রী আনা প্রধানকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বুধবার (৩ আগস্ট) শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

আসিফুজ্জামানের আদালতে আজ তাকে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো.

সেলিম প্রধানের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, তার বিরুদ্ধে মোট ৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় বুধবার দুদকের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।

তবে সেলিম প্রধানের স্ত্রী আন্না প্রধান ওই দিন আদালতে আসার তথ্য নিশ্চিত করতে পারেননি তবে সেলিম প্রধানের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার স্ত্রী আন্না প্রধান আদালতে হাজির হবেন।

অবৈধভাবে ৫৭ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের এ মামলায় একই আদালত ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর সেলিম প্রধানের উপস্থিতিতে অভিযোগ দায়ের করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। দুদকের উপ-পরিচালক মো. ওইদিন মামলার বাদী গুলশান আনোয়ার প্রধান সাক্ষ্য দেন।

২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে প্রথমে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হলেও দুদক মামলাটি তদন্ত করে ৫৭ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়ে তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। .

বলা হয়, দুর্নীতি ও ক্যাসিনোর মাধ্যমে সেলিম প্রধান ৫৭ কোটি ৪১ লাখ ৪৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এর মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। তিনি থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন ২১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

সেলিম প্রধান জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং পেপারস এর চেয়ারম্যান। এই কোম্পানিতে তার ৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ৬৯ হাজার শেয়ারের বিপরীতে এখানে বিনিয়োগ দেখানো হয়েছে ৬৯ লাখ টাকা। তবে সেলিম প্রধানের নামে ২৩ কোটি ৫৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫০ টাকার শেয়ার মানি ডিপোজিট পাওয়া গেছে। তিনি এই টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। প্রিন্টিং পেপারস কোম্পানি ২০১০ সালে মুনাফা করেছে ২৯ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৩ টাকা।

২০১১ সালে মুনাফা ছিল ১ কোটি ৪৬ লাখ ২১ হাজার ৭২ টাকা। সেলিম প্রধান তার ব্যক্তিগত আয়কর নথিতে উল্লেখ করেছেন যে তিনি ২০১১-১২ অর্থবছরে এখান থেকে আট কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তবে কীভাবে তিনি এই কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়েছেন সে বিষয়ে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন।

এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে সেলিম প্রধানকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার নামে একাধিক মামলা হয়।

উল্লেখ্য,   এসকল অনলাইন জুয়ায় লক্ষ লক্ষ টাকা বিদেশ পাচার হয়ে যাচ্ছে ইতিমধ্যেই সরকার অনেকগুলো জুয়া অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছেন তবে কিছু বৈদেশিক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো এখনো চলমান ভিন্ন কারেন্সি বাংলাদেশি কারেন্সি দিয়ে কিনে মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে এসকল ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে সারা সাইবার ইউনিট দ্বারা এসকল ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার এছাড়া অনেক বাংলাদেশী জুয়া ব্যবসায়ীকে ইতিমধ্যেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে 

 

About Nasimul Islam

Check Also

চুলের মুঠি ধরে নারী চিকিৎসককে রোগীর মারধর (ভিডিও সহ)

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *