ভাইরাস ভীতিতে দেশে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে করে মারাত্মক ভাবে ক্ষতির কবলে পড়েছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। এবং নানা ধরনের অনিশ্চয়তায় ভুগছে শিক্ষার্থীরা। তবে বেশ কিছু নির্দেশনার মধ্যে দিয়ে ১২ই সেপ্টম্বর থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে। তবে এখনও দেশের বিশ্যবিদ্যালয় গুলো চালু হয়নি। এই বিষয়ে কারন জানতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গেল ১২ সেপ্টেম্বর দেশে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরপর প্রায় এক মাস হয়ে গেলেও অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই এখনও সশরীরে ক্লাস চালু করতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পূর্ণাঙ্গরূপে ক্লাস চালু করতে বিলম্ব কেন হচ্ছে তা জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এ বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানান- দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে তাদের নিজস্ব আইনে, সেক্ষেত্রে তাদের একটা বিষয় আছে। তারপরও চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় খুলে যাবে বলে আশা করছি। করোনাকালে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো ব্যবহার অনুপোযোগী পড়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি আরও জানান, হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের বই-পত্র, চেয়ার-টেবিল ও বিছানাও অনেকগুলো নষ্ট হয়েছে। সেগুলো রিপেয়ারসহ সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, চলতি মাসেই সকল বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া বড় কোনও বিপর্যয় না ঘটলে ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলেও প্রধানমন্ত্রীকে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
করোনায় শিক্ষাখাতের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি নিরসনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে গ্রহন করেছে নানা ধরনের পদক্ষেপ। এবং এরই লক্ষ্যে শিক্ষাক্রমেও নানা ধরনের পরিবর্তন করেছে সরকার।