বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য দেশ রয়েছে। এই সকল দেশ গুলো নিজেদের প্রয়োজনে একে অন্যের দেশ থেকে নানা ধরনের পন্য আমদানি-রপ্তানি করে থাকে। এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলদেশ নানা ধরনের পন্য রপ্তানি করে থাকে। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রপ্তানি পন্যের শীর্ষে রয়েছে পোশাক খাত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বেশ কদর রয়েছে। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নানা ধরনের পন্য রপ্তানি করে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি উঠে এলো এই বছরের রপ্তানি আয়ের পরিমান।
তৈরি পোশাক খাতের স্থগিত ও বাতিল হওয়া ক্রয়াদেশ ফিরে আসছে। এতে বাড়ছে রপ্তানি। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় মাস আগস্ট ও সেপ্টেম্বরেও রপ্তানি আয় বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ রপ্তানি থেকে আয় করেছে ৪১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ২০২০ সালের একই সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩০১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সেপ্টেম্বরে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৮ শতাংশ। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য খুলতে শুরু করেছে। ফলে বাতিল ও স্থগিত হওয়া রপ্তানি আদেশ ফিরতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নতুন অর্থবছরের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রথম তিন মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে এক হাজার ১০২ কোটি ২০ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ৯৮৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে (ফার্স্ট কোয়ার্টার) রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। একক মাস হিসাবে আগস্টে পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ২৯৬ কোটি ৭১ লাখ ডলার, যা গত বছরের আগস্ট মাসের চেয়ে ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। এর আগের মাস অর্থাৎ নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৯১ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রথম মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি হয়েছে। আর আগের বছরের একই সময়ে চেয়ে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ।
দীর্ঘ সময় ধরে গোটা পৃথিবী জুড়ে বিরাজ করছে ভাইরাস ভীতি। এই ভাইরাসের প্রকোপে গোটা বিশ্ব থমকে গেছে। এতে করে সকল দেশেই অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাংলাদেশও বেশ বিপাকে পড়েছে। এমনকি রপ্তানি খাত থেকেও আয়ের পরিমান কমে গেছে। তবে আবারও স্বাভাবিক ভাবে শুরু হয়েছে গোটা বিশ্বের সক কার্যক্রম। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেরও রপ্তানি খাতের আয়ের পরিমান বেড়েছে।