ঢাকাই সিনেমার লাস্যময়ী অভিনেত্রীর দিলারা হানিফ পূর্নিমা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বাংলাদেশের সিনেমায় কাজ করে যাচ্ছেন বেশ স্ব-গৌরবে। বিশেষ করে নিজের সৌন্দর্য্যের কারনে দর্শক মহলে সব থেকে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন পূ্র্ণিমা।
এ দিকে তাকে নিয়ে আবারো আলোচনায় মেতে উঠেছে মিডিয়া জগত থেকে শুরু করে গোট দেশ। আর আলোচনার কারন হলো তার দ্বিতীয় বিবাহ।
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় এই নায়িকার নতুন জীবনসঙ্গী হচ্ছেন একটি বহুজাতিক কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আশফাকুর রহমান রবিন।
গত ২৭ মে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের ২ মাস পর ২১ জুলাই সন্ধ্যায় অভিনেত্রী নিজেই সবাইকে বিয়ের খবর জানান।
বর্তমানে স্বামী আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় এক ছাদের নিচে বসবাস করছেন এই অভিনেত্রী। চার বছরের বন্ধুত্ব ও প্রেমের পর রবিনকে বিয়ে করেন ‘মনের মানুষ তুমি’ খ্যাত এই অভিনেত্রী।
তবে পূর্ণিমার স্বামী আশফাকুর রহমান রবিন তার চেয়ে বয়সে ছোট। বিয়ের খবর প্রকাশের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তা নিয়ে কথা বলছেন। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন নায়িকা?
জানতে চাইলে পূর্ণিমা সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, এর জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। জানতাম, বিয়ের পর স্বামীর বয়স নিয়ে কথা হবে। যারা এসব লেখেন তারা না লিখলে ভালো হবে না। না লিখলে মন খারাপ হবে। আমাকে দু-তিনবার গালি না দিলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়া করবে। তারা আমাকে এভাবে গালাগাল করে শান্তি পেলে আমি খুশি। আমার ছবি পোস্ট করে দু-চারটা গালাগালি ছুড়ে দাও, আমার কোনো সমস্যা নেই। তবে তারা শান্তিতে থাকুক, সুখে থাকুক, সুস্থ থাকুক। আমরা তাদের মঙ্গল কামনা করি। এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না।
রবিনকে পছন্দ করার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পূর্ণিমা বলেন, তার আচার-আচরণ, আন্তরিকতা, যত্নশীলতা- এই বিষয়গুলো তার বেশি ভালো লাগে। সবচেয়ে বড় কথা, আমার মেয়ের প্রতি তার অনেক আবেগ আছে, যা আমাকে দারুণভাবে আবেদন করে। যখন একটি মেয়ে সন্তানসহ পুনরায় বিয়ে করে, তখন তার কী হবে তা সে ভাবে না। তার স্বামী তার সন্তানের সাথে কেমন আচরণ করবে তা নিয়েই সে বেশি ভাবে। আমি একই চিন্তা করি কিন্তু ওকে দেখে, আমার থেকে আমার বাচ্চাকে ধরে রাখা, বাচ্চাকে নিয়ে ওর ভালোবাসা বেশি, যা আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। বাচ্চাকে খুব ভালোবাসে। তা ছাড়া ওর বাবা-মাসহ বাড়ির সবাই আমার বাচ্চাকে ভালোবাসে।
নতুন সংসারে সুখে আছেন জানিয়ে এ নায়িকা বলেন, আমরা একে অপরকে অনেকদিন ধরে চিনি। রবিন দীর্ঘদিন ধরে একটি কোম্পানির সিনিয়র অফিসার হিসেবে কাজ করছেন। আমি একজন বিনোদনের মানুষ। সেই উপলক্ষ্যে, আমরা অনেকেই তাদের পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একসাথে ভ্রমণ করেছি। এভাবেই তার সাথে আমার পরিচয়। কাজের কারণে পারস্পরিক বোঝাপড়ার জায়গা তৈরি হয়। তারপর আমরা এক বছর আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমরা একসাথে থাকতে পারি। এখন সবকিছু ঠিক আছে। সংসারও ভালো চলছে।
প্রসঙ্গত, পূর্ণিমা সর্বপ্রথম বিয়ে করেন ২০০৫ সালে। তবে সেই সংসার টেকেনি বেশি দিন। ২০০৭ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান তিনি। এরপর ২০০৭ সালে আবারো বিয়ে করেন পূর্ণিমা। সেই সংসার টেকে অনেক বছর। তবে সব শেষ ২০২১ সালে সেই সংসার থেকেও বিচ্ছেদ ঘটান পূর্ণিমা। সেই ঘরে তার রয়েছে একটি মেয়ে। সেই মেয়েকে সাথে নিয়েই তৃতীয় বিয়ে সারলেন পূর্ণিমা।