Wednesday , November 27 2024
Breaking News
Home / Countrywide / শিক্ষিকা বললেন ‘সুখে আছি’, ছাত্র বললেন মন্তব্য কখনো গন্তব্য ঠেকাতে পারে না

শিক্ষিকা বললেন ‘সুখে আছি’, ছাত্র বললেন মন্তব্য কখনো গন্তব্য ঠেকাতে পারে না

সামাজীক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যপকভাবে একটি বিয়ের ঘটনা নিয়ে বেশি আলোচনা শুরু হয়েছে শিক্ষিকা এবং ছাত্রের বিয়ে। অনেকেই সমালোচনার চোখে দেখছে বিষয়টি এবং সেই সাথে দেখা যাচ্ছে এই বিষয়টাকে অনেকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। তবে এই আলোচনা সমালোচনা নিয়ে শিক্ষিকা ছাত্র দম্পতি মুখ খুলেছেন।

দেশজুড়ে বেশ আলোচনা চলছে কলেজছাত্রের সঙ্গে শিক্ষিকার বিয়ের ঘটনা নিয়ে। নাটোরের গুরুদাসপুরে খাইরুন নাহার (৪০) নামে ওই শিক্ষিকাকে বিয়ে করেছেন মো. মামুন হোসেন (২২) নামের এক কলেজছাত্র। ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। তবে শিক্ষিকা জানিয়েছেন ছাত্রকে বিয়ে করে তিনি সুখেই আছেন। শুধু তাই নয়, ঠিক কী কারণে ওই ছাত্রকে বিয়ে করেছেন সেটাও জানিয়েছেন তিনি।
খাইরুন নাহার জানান, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে তিনি ভেঙ্গে পড়েছিলেন। এতোটাই বিষাদগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন যে, সেই সময় আত্মহত্যা করার পরিকল্পনাও করেন। হঠাৎ ফেসবুকে মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এরপর আমাদের দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থেকে ভালবাসা হয়। দুঃসময়ে মামুন তাকে বেশ সঙ্গ দেওয়ায় তাকে জীব সঙ্গী করার পরিকল্পনা করেন।

তিনি আরও জানান, মনস্তাত্ত্বিকভাবে মিল থাকায়র দুজনের সিদ্ধান্তে বিয়ে করি। সমাজে কে কী বলে, তা বড় বিষয় না। আমরা যদি দুজন ঠিক থাকি, তাহলে সব ঠিক।

তবে শিক্ষিকার পরিবার এই বিয়ে মেনে নেয়নি। কিন্তু মামুনের পরিবার এই বিয়ে মেনে নিয়েছে। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমি অনেক সুখে আছি। সারাজীবন তার সঙ্গে এভাবে থাকতে চাওয়ার আশা ব্যক্ত করে সবার কাছে দোয়া চান খাইরুন নাহার।

জানা গেছে, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে গোপনে বিয়ে করেন মামুন ও খাইরুন। সম্প্রতি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলো। শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং মামুন নাটোর এন এস সরকারী কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

বর্তমানে নাটোর শহরের একটি ভাড়া বাসায় দুজন বসবাস করছেন। এর আগে ওই শিক্ষিকা প্রথমে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশিদিন টিকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে একজন সন্তান রয়েছে বলেও জানা গেছে।

মামুন হোসেন জানান, বছরখানেক আগে ফেসবুকে আমাদেরপরিচয় হয়। এরপর আমাদের মধ্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠলে দুজনে বিয়ের সিন্ধান্ত নিই। ৬ মাস আগে কাউকে না জানিয়ে আমরা বিয়ে করি। আমার বাবা-মা মেনে নিয়েছে। নিজেদের মত সংসার গুছিয়ে নিয়ে জীবন শুরু করেছেন। আমরা দুজন অনেক সুখে সংসার করছি।

সমালোচনার জবাব দিয়ে মামুন বলেন, ‘মন্তব্য কখনও গন্তব্য ঠেকাতে পারে না’

উল্লেখ্য, অসম বিয়ের ঘটনা বাংলাদেশে অনেক সময় শোনা যায়, বয়সে বড় নারী এর সাথে বিয়ে বা সম্পর্ক এর বিষয়টি আমাদের সমাজে স্বাভাবিক বিষয় নয় এ কারনে এই ঘটনাগুলো নিয়ে বেশি আলোচনা হয়ে থাকে এবারেও তার ব্যতিক্রম নয় এবার শিক্ষিকা ছাত্রের বিয়ে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা

About Rasel Khalifa

Check Also

মৃত্যুর আগে শেষ পোস্টে যা লিখে গেছেন আইনজীবী সাইফুল

তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ মৃত্যুর আগে ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট নিয়ে আলোচনা চলছে। চলতি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *