হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শনিবার (০২ অক্টোবর) রাত ৩ টা ৩০ মিনিটের দিকে নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪২ বছর। এতো অল্প সময়ে তাকে হারিয়ে রীতিমতো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন পরিবার-পরিজন। অন্যদিকে, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। হঠাৎই তাকে হারিয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তার পরিবারকে।
তবে এদিকে জানা গেছে, খুলনায় সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক মামলার আসামি ছিলেন তিনি। গত ১০ বছরে খুলনার বিভিন্ন থানায় দায়ের করা ৭২টি মামলায় আসামি করা হয় তাকে। মাসজুড়ে আদালতে হাজিরা দিয়েই কাটত তার দিন। মহানগর যুবদলের কমিটিতে পদ না পাওয়ার কষ্টও ছিল মনে। বাবা-মায়ের সঙ্গে বড় ভাইকে হারিয়ে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। এসব কষ্ট নিয়েই হঠাৎই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তিনি। খুলনায় পরিচ্ছন্ন চরিত্রের সজ্জন ছাত্রনেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কামাল। তার অকাল মৃত্যু ছুঁয়ে গেছে সবাইকে। শোকাহত হয়ে পড়েছেন তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ২টার দিকে টুটপাড়া নিজ বাড়িতে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। সাড়ে ৩টার দিকে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি স্ত্রী ও দিলরুবা নামের ৯ বছর বয়সী একমাত্র কন্যা সন্তান, এক বোন, মৃত ভাইয়ের স্ত্রী ও পুত্র সন্তান রেখে গেছেন তিনি। রোববার তার জানাজা টুটপাড়া বাইতুস শরফ জামে মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। পরে টুটপাড়া কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
তার এ অকাল মৃত্যু কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না পরিবার-স্বজনরা। সর্বদা শোকের ছায়া বইছে সবার মাঝে। এদিকে গুণী এই নেতার মৃত্যুতে গভির শোক প্রকাশ করে পরিবারের প্রতি সমবদনা জানিয়েছেন দলের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা। এ সময়ে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন তারা।