বলিউডের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনুশ্রী। একসময় বলিউডের রাজ করেছেন তিনি। বিশেষ করে আশিক বানায়া গানের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশ পাকিস্তান নেপাল এবং ভারতে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এই গানটি বিভিন্নভাবে পেরোডিও করা হয়েছিল ওই সময়। তবে বর্তমানে তিনি তার জীবন নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় ভোগছেন। এ বিষয় নিয়ে সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে জানিয়েছেন, নিরাপত্তাহীনতা, জীবনের সন্দেহ, হতাশা। সবকিছু নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন তনুশ্রী দত্ত। তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে মনে করছেন বলিউডের এই বাঙালি অভিনেত্রী।
সন্দেহভাজন হিসেবে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল অভিনেতা নানা পাটেকরের নাম। ২০১৮ সালে, তনুশ্রী ‘মি টু’ আন্দোলনে যোগ দিয়ে বলিউডে যৌ/ /ন হয়রানির শিকার হওয়ার কথা প্রকাশ করেছিলেন।
তখনই কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য এবং পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর দিকে আঙুল তোলেন নানা। এরপর থেকে বলিউডে কোনো কাজ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি। এর পেছনে বলিউডের মাফিয়া রাজও জড়িত বলে মনে করেন এই অভিনেত্রী। মুম্বাইয়ের একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী বলেন, মুম্বাইয়ে ফিরে অভিনয়ে ফেরার চেষ্টা করছি। অনেকেই আমার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। কাজ পাচ্ছি, চুক্তিও হচ্ছে।
কিন্তু এরপরই পিছিয়ে পড়ছেন পরিচালক-প্রযোজকরা। এসবের জন্য দায়ী বলিউডের মাফিয়া-রাজ। সম্প্রতি তার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তনুশ্রী লিখেছেন, ‘আমার কিছু হলে অভিনেতা নানা পাটেকর, তার আইনজীবী এবং সহকর্মী মাফিয়া বন্ধুরা দায়ী থাকবে। ইন্ডাস্ট্রির এই অভিনেতা-পরিচালকদের ছবি বয়কট করুন। তার সন্দেহের কথা বলতে গিয়ে তনুশ্রী অভিনেত্রী সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথাও উল্লেখ করেছেন। তরুণ অভিনেতার মৃত্যুতে বলিউড মাফিয়াদের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
মানসিক অবসাদে রয়েছেন তনুশ্রী। সে তার নখের দিকে ঝুঁকতে তার থেকে দূরে সরে গেল। সেখানেও ভয় পিছু ছাড়েনি অভিনেত্রীর। তার মনে হয় কেউ তাকে অনুসরণ করছে। অভিনেত্রী বলেন, ‘জীবনের প্রতি এখন আমার কোনো মায়া বা মায়া নেই। বন্ধু থেকে শুরু করে বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী—সবাই স্বার্থপর, বিশ্বাসঘাতক। আগামী দিনে কি হবে জানি না। আগামীকাল থাকব কি না তাও জানি না।
এর আগেও তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছিলেন কেন তিনি বলিউডে ঢুকতে পারছেন না। বিভিন্ন সময় পরিচালকরা তার সাথে খারাপ আচরণ করত। যেমন হুস্কি খাওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে তার সাথে খারাপ কাজ করতো এসব কাজে বাধা দেয়ার দেওয়াই তার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায় বলে জানান তিনি।