দেশের রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে অন্যতম দুই প্রধান দল বিএনপি এবং আ.লীগ পরস্পর পরস্পরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে থাকে। তবে মাঝে মাঝে এমন কিছু বিষয় নিয়ে সমালোচনা করে থাকে যেগুলো নিয়ে অন্য দলই কথা বলে থাকে। বর্তমান সময়ে দেশে চলমান সংকটময় পরিস্থিতি নিয়েও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগকের ভূমিকা নিয়ে বিএনপি প্রশ্ন তুলেছে। এবার এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি’র অক্ষমতা সম্পর্কে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যে দল তাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে আন্দোলন করতে পারে না, তারা আবার সরকার পতন ঘটাবে! এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়।
শনিবার (৩০ জুলাই) নিজ বাসভবনে বিএনপি নেতাদের সরকার পতনের আন্দোলনের বিষয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
জনগণকে জাগানোর জন্য বিএনপি নেতাদের দেওয়া বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ জেগে আছে, কেউ ঘুমায়নি; বরং বিএনপি নেতারা জেগে ঘুমিয়ে আছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের ফানুস উড়িয়ে বিএনপি গভীর শীতের ঘুমে তলিয়ে যাচ্ছে। তাদের সরকার উৎখাতের আন্দোলন মানেই গভীর দীর্ঘশ্বাস এবং নিজ দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশার বহিঃপ্রকাশ।
সেতুমন্ত্রী বলেন, কিছু বলার আছে, সে কারণেই বিএনপি নেতারা এসব উচ্চ শব্দ ব্যবহার করছেন। আমরা জানি বাস্তবে তাদের সামর্থ্য কী। আন্দোলনের বৈষয়িক অবস্থা আছে কি না, তা বিএনপি নেতারা জানেন না।
ওবায়দুল কাদের মনে করেন, বিএনপি এখন কুম্ভকর্ণ। তাই তাদের প্রথমে কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙতে হবে।
আওয়ামী লীগকে দূরে ঠেলে দেওয়া হবে- বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন করেন কাকে দূরে ঠেলে দেওয়া হবে? আওয়ামী লীগ? আওয়ামী লীগ কি এত শক্তিশালী দল? বন্দুকের নল থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়নি।
এদেশের মাটি ও মানুষের গভীরে আওয়ামী লীগের শিকড় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা অতল গহ্বরে। আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিলে খাদে পড়তে হবে।
তিনি ইঙ্গিত করে বলেন, যে সকল নেতারা দেশে বসে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতির সাথে যুক্ত করে নিজেদের, তারা জনগনের কাছে নেই, তারা জনগণের কোনো প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে না, সেটা থেকে তারা অনেক দূরে অবস্থান করে। তারা জনগণের কাছে আস্থা হারায়। জনগণের নিকট তাদের অবস্থান থাকে নাজুক এবং ভঙ্গুর। জনগণ সেই সকল দলকে সর্বদা পরিহার করে চলে।