বর্তমানে বাংলাদেশে বিদেশি সকল ধরনের চ্যানেল বন্ধ রয়েছে। যার কারনে দেশের বিনোদন মাধ্যম অনেকটা ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। অনেকে টেলিভিশনের বিনোদন জগৎ থেকে দূরে সরে এসে মোবাইলে অনলাইন মাধ্যমকে বিনোদন মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করেছে। এবার সেই প্রেক্ষিতে বিজ্ঞাপনসহ দেশের বিনোদন মাধ্যম হিসেবে দেশের চ্যানেগুলোর পাশাপাশি বিদেশী চ্যানেলগুলোকেও পুনরায় সম্প্রচার এবং ক্লিন ফিড ইস্যুতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে একটি আইনি নোটিশ প্রেরন করা হয়েছে। আজ রবিবার অর্থাৎ ৩ অক্টোবর খন্দকার হাসান শাহরিয়ার যিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তার নিবন্ধিত নোটিশ মেইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঐ নোটিশে বলা হয়েছে, বিদেশি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করার জন্য বিনোদনের অভাব বিরাজ করছে, যা বাংলাদেশের সংবিধান ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট ল’ঙ্ঘ/ন। কারণ বাংলাদেশে টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানের মান খুবই নিম্নমানের। ফলে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ বিদেশি চ্যানেলে বিনোদন উপভোগ করে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এসএম সামসুর রহমান শিমুলকেও একটি নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপনবিহীন) ছাড়া কোন বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করা বর্তমানে সম্ভব নয় বিধায় ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সদস্যরা গত ১ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল প্রকার বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে।
বিদেশি চ্যানেলগুলোর সঙ্গে ক্লিন ফিড ছাড়া কিভাবে বাংলাদেশে সম্প্রচার অব্যাহত রাখা যায়, সেই ব্যাপারে কোনও আলোচনা না করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও কোয়াবের হ’ঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ বিদেশি চ্যানেল দেখার প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করেও তা দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে বিনোদনের অভাব দেখা দিয়েছে, যা সুস্পষ্টভাবে বাংলাদেশের সংবিধান ও মানবাধিকারের ল’ঙ্ঘ/ন।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানের মান অত্যন্ত নিম্ন। ফলে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ বিদেশি চ্যানেলগুলোতে বিনোদনের স্বাদ গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু এই নোটিশের গ্রহীতাদের হ’ঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের জনগণ বিশেষ করে ছেলেমেয়েরা কার্টুন, মহিলারা রান্না ও সিরিয়াল এবং পুরুষরা সংবাদ, খেলা ও রিয়েলিটি শো দেখতে পারছেন না বলে তারা বর্তমানে ব্যাপক বিড়’ম্বনার শি’/কা’র হচ্ছেন। যা প্রচলিত আইনের পরিপন্থি।’
অতএব, এই আইনি নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে যে সকল বিদেশী চ্যানেল সম্প্রচার করা হচ্ছিল সেগুলো পুনরায় সম্প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সেই সাথে, যদি কোন বিদেশী চ্যানেল ক্লিন ফিড ব্যাতীত অর্থাৎ বিজ্ঞাপন ছাড়া সম্প্রচার করা হয়ে থাকে, তবে বাংলাদেশের যে সমস্ত টিভি চ্যানেলে ক্লিন ফিড অর্থাৎ বিজ্ঞাপন ব্যাতীত সম্প্রচারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নোটিশ প্রদানকারীকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে যদি সেটা না হয়, তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে, সুপ্রিম কোর্টে রিট পি’টিশন দাখিলসহ প্রয়োজনীয় সকল ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে নোটিশ প্রাপকদের অযৌক্তিক মা’ম/লায় যদি জ’ড়িয়ে পড়ে সেজন্য সমস্ত ক্ষতিপূরণ বহন করতে হবে এমনটি জানানো হয়েছে ঐ নোটিশে.