বর্তমান সময়ে বিশ্বের অনেক দেশে অর্থনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ইউক্রেন রাশিয়ার মধ্যে সৃষ্ট সংঘাত এবং বিশ্বের অনেক দেশে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে বেশ কয়েকটি দেশে। এদিকে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। বহির্বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাবে এমনটি হয়েছে। এদিক আইএমএফের থেকে ঋণ নিয়ে বাংলাদেশে সংকট পরিস্থিতি কিছুটা কাটানোর চেষ্টা করছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে দুই রকম কথা বলার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
বুধবার (২৭ জুলাই) বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়ে চিঠি দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে চার দিন আগে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আপাতত আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি সবসময় বলি আমাদের টাকার প্রয়োজন, তা আমাদের প্রয়োজনের পরিচয় দেয়। আইএমএফ টিম ঢাকায় এলে আমরা যদি বলি টাকা দরকার, তারা টাকা দিলেও সুদের হার বাড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দেয়। সুতরাং, আমরা ভাব দেখাই যে আমাদের এটির প্রয়োজন নেই, এটাই মূল বিষয়। সেজন্য আমি তখন বলিনি যে আমাদের ঋণ দরকার।
এ সময় মোস্তফা কামাল দাবি করেন, আইএমএফ থেকে ঋণ চেয়ে চিঠি লেখার কথা স্বীকার করলেও চিঠিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে আইএমএফ থেকে বাংলাদেশের ঋণের আবেদনের বিষয়টি বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনায় ছিল। তবে গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী এ ধরনের আশ”ঙ্কা নাকচ করে দিয়ে বলেন, এই মুহূর্তে আইএমএফের কোনো সহায়তার প্রয়োজন নেই। কিন্তু মঙ্গলবার কিছু সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা চাইছে। এরপর আজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন অর্থমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্য স্ফীতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে কিছুটা আর্থিক সংকটে পড়েছে দেশ। তবে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এই সময়ের জন্য সাময়িক সময়ের জন্য। খুব শীঘ্রই আমরা এই ধরনের সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হব।