Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / তারেক রহমানের বড় পরিকল্পনার তথ্য প্রকাশ করে সকলকে সতর্ক করলেন হানিফ

তারেক রহমানের বড় পরিকল্পনার তথ্য প্রকাশ করে সকলকে সতর্ক করলেন হানিফ

বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের সমালোচনা করে থাকে। বিশেষ করে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে চলেছে। সম্প্রতিক সময়ে বিএনপির এক শীর্ষ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় ঘেরাও করার কথা বলেন। এবার এ বিষয় নিয়ে সরব হলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

হানিফ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘নষ্ট রাজনীতির হোতা’ উল্লেখ করে বলেছেন, তারেকের কারণেই বিএনপি দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করছে।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকেল ৩টায় রাজধানীর বনানী সোসাইটি মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তরের বনানী থানার ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, ‘বিএনপি দেশে আবারও নাশকতা করার পরিকল্পনা করছে বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তথ্য পেয়েছে। লন্ডন থেকে পলাতক স”ন্ত্রা/সী তারেক রহমান না”শকতার নির্দেশ দেন। বিএনপি দেশে স’ন্ত্রা’/সী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছে। আমাদের দলের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

আন্দোলনের নামে দেশের রাজপথে অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ সরকার দেবে না জানিয়ে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, দেশের নির্বাচনে কোনো না’/শ’কতার চেষ্টা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বরদাস্ত করবে না।

হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট বলেছেন, আওয়ামী লীগের দরজা সব সময় খোলা। আন্দোলন করে নয়, আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে আসলে চা খাওয়ানো হবে। নেত্রী চা খাওয়াবেন। এর মাধ্যমে যে বার্তা দেয়া হয়েছে বিএনপির সন্ত্রাসী নেতারা তা বুঝতে পারেনি। বার্তাটি পরিষ্কার। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দেশের কোনো রাজনৈতিক দল কথা বলতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর দরজা খোলা রয়েছে। বিএনপি এর অপব্যাখ্যা করছে।

দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের রায়কে সম্মান করে। আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা চাই সব দল সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হন।

হানিফ বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কথা বলার একটাই কারণ। এতিমদের টাকা আত্মসাতের মামলায় সা”জাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া। নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। তারেক রহমান হাওয়া ভবন বানিয়ে লু”টপাট করেছে। দ’ণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামি তারেক রহমানেরও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। তাই তাদের একটা ফান্ড হচ্ছে আরেকটা সরকার এসে নির্বাচনে অংশ নেবে।

বিএনপির সিনিয়র নেতারা মিথ্যা কথা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের পর রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বে জ্বালানি সংকট চলছে। সব কিছুর দাম বাড়ছে। একই সঙ্গে মিথ্যাচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।

বিএনপি শাসনামলে দেশের মজুদ ও বর্তমান সময়ের তুলনা করে তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের রিজার্ভ সবচেয়ে কম ছিল। যদিও বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে রিজার্ভ ছিল ৫ বিলিয়ন ডলার। আর এখন এই সংকট সত্ত্বেও দেশের রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলার। এই নির্লজ্জ মিথ্যাচারের আগে বিএনপি নেতাদের নিজেদের আয়নায় দেখা দরকার।

জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে বিলাসিতায় ম”ত্ত ছিলেন উল্লেখ করে হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনেছেন, আজ তার কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছেন। যে বাংলাদেশকে একসময় তলাবিহীন ঝুড়ির ব্যর্থ রাষ্ট্র বলা হতো, সেই বাংলাদেশ এখন উপচে পড়া ঝুড়ির দেশ। চরম দারিদ্র্যের দেশ থেকে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ।

একটি উন্নত ও মর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় মসৃণভাবে হয়নি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ৭১ সালের পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামায়াত ইস্যু তৈরি করে। দেশে অরাজকতা। গাড়িতে আগু’ন দিয়ে মানুষদের নিথর করা হয়। সড়কে ভাঙচুর করে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে। সকল ষ’ড়য’ন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।

ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।

উল্লেখ্য, তারেক রহমান লন্ডনে থেকে তার দল বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। এদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বারবার নির্বাচনে জয় লাভ করার বিষয়টিকে তিনি ভোট কারচুপি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এদিকে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারছেন না বিভিন্ন কারণে। তিনি বিশেষ আইনে বাসায় অবস্থান করছেন। এছাড়া তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই।

About bisso Jit

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *