একসময়কার আলোচনায় উঠে আসা আব্দুল কাদের মির্জা (বসুরহাট পৌরসভার মেয়র) রাজনৈতিক বিষয়ে এবার ক্ষো’/ভ নিয়ে বললেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে যে কথাটি সকলে জানে সেটা হলো শেখ সেলিম সাহেব বাংলাদেশের অপরাজনীতির সাথে যারা যুক্ত সেই সকল নেতাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শেখ সেলিমও শেখ পরিবারের একজন সদস্য। তিনি বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য। এক কালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি তার মন্ত্রীত্ব কেন হারিয়েছিলেন সেটার কারণ জানি না? সমগ্র বাংলাদেশে এটা প্রচারিত যে, তিনি ক্যাসিনো ব্যবসায় নিজেকে নিযুক্ত করেছিলেন। কিছুদিন আগে ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার জন্য অনেককে গ্রে’ফতার করা হয়েছে। শেখ সেলিমের হাত অনেক লম্বা, তাই ওনারা নাগালের বাইরে রয়েছেন।’
শনিবার রাত ৮ টায় তার ফেস’বুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের মির্জা শেখ সেলিমের প্রতি বিনীত আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘নেতৃত্বে আছেন, নেতৃত্ব সুলভ কর্মকাণ্ড করবেন, না হলে জনগণ ঘৃণা ভরে আপনাদের প্রত্যাখান করবে। কোন সত্য গোপন থাকেনা। কি করেন সব মানুষ জানে। আপনারা বঙ্গবন্ধু পরিবারের কলঙ্ক। আপনারা শেখ হাসিনার আত্মীয় হয়ে শেখ হাসিনাকে কলঙ্কিত করছেন।‘
কাদের মির্জা শেখ সেলিমকে সম্পর্কে বলেন, ‘উনি গোপালগঞ্জ থেকে ভোট করেন। সেখানে ৯৫ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগ করে। সেখান থেকে নির্বাচিত হন। বিশেষ করে নোয়াখালী এসে ভোটে দাঁড়ান দেখবেন জামানত পাবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেই শেখ সেলিমের সাথে নাকি দেখা করেছে নোয়াখালীর অপরাজনীতির হো’তা নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী। প’ঙ্গুত্বের অভিনয় করে শেখ সেলিমের কাছে গিয়েছেন। শেখ সেলিম নাকি ডিআইজি সাহেবকে বলে দিয়েছেন আমার বিরু’দ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তু আপনি কোন কিছু যাচাই না করে কেন আমার বিরু’দ্ধে অবস্থান নিলেন। এ ছেলেকে সেখানে আশ্রয় দিয়েছেন, তার জন্য ওকালতি করছেন?’
ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে কাদের মির্জা বলেন, ‘আপনাদের মাথায় ঢুকেছে জো’র করে ভোট নিয়ে আপনারা আবার পরবর্তী সরকার গঠন করবেন। এটা কি রাজনীতি? ভোট চু’রি করে বঙ্গবন্ধু নেতা হয়েছেন? ভোট চু’রি করে বঙ্গবন্ধু কি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন? আজকে আপনাদের মাথায় ঢুকেছে ভোট চু’রি করবেন। এলাকার সঙ্গে সম্পর্কের দরকার নাই। ওবায়দুল কাদের সাহেব আজকে কয় বছর এখানে আসেন না? এলাকার খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন নাই! অন্য এমপিদের অবস্থাও একই। দুই-চারজন এলাকায় আসেন টিআর–কাবিখার টাকা, রাস্তার কাজের ভাগ নেওয়ার জন্য। এভাবে চলতে দেওয়া যায়? বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছেন, তা ৫০ বছরেও কেউ করতে পারেনি। আর আপনারা তার সকল অর্জন ধ্বং’/স করে দিচ্ছেন।’
কাদের মির্জা নোয়াখালীর পু’/লি’শ সুপার (এসপি) শহিদুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি ছিলেন পু’/লি’/শ হেডকোয়াটারে, কী জন্য নোয়াখালী এসেছেন? আপনার আগের এসপি তো যাওয়ার জন্য দরজা খুঁজে পেয়েছেন, আপনি পা’/লি’য়ে যাওয়ার জন্য দরজাও খুঁজে পাবেন না। আপনাকে অনতিবিলম্বে নোয়াখালী ছাড়তে হবে। না হয় আপনার বিরুদ্ধে কোম্পানিগঞ্জের লোকজন ফু’সে উঠবে।’
তিনি যোগ করে বলেন, আমাকে কেউ ভ’/য় দেখাবার কোনো ধরনের চেষ্টা চালাবেন না। আমি জাতির জনকের এবং শেখ হাসিনার আদর্শের একজন সৈ’/নি’ক। আমরা পরোয়া করিনা কোনো হু’ম/কি ধম’কিকে। ওবায়দুল কাদেরকে গিয়ে ভ’/য় দেখিয়ে আসেন। তিনি ভয় পেয়েছেন বলে এলাকায় আসেন না। কারণ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে বলেছিলেন যে, প্রতিটি ঘরে চাকরি দেওয়া হবে, গ্যাস দেওয়া হবে। কিন্তু তার কোনো কিছুই দেয়নি। তার ঘনিষ্ঠ যে সমস্ত লোক রয়েছে তারা অর্থ ও নারী নিয়েই ব্যস্ত আছেন। তাদের প্রত্যেকের রয়েছে বিদেশে বেশ কয়েকটি করে বাড়ি এবং রাজধানীতেই রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট।