দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে করে বেশ ক্ষতির কবলে পড়েছে দেশের শিক্ষাখাত। এমনকি নানা ধরনের অনিশ্চয়তায় ভুগছে শিক্ষার্থীরা। অবশ্যে এই খাতের সকল ধরনের ক্ষতি নিরসনের জন্য আপ্রান ভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার। এমনকি শিক্ষাক্রমেও এনেছে নানা ধরনের পরিবর্তন। সম্প্রতি এই নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বেশ কিছু কথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
নতুন শিক্ষাক্রম যেটি করা হচ্ছে- সেটিকে বাস্তবায়নের আগে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘এখানে একেবারে যে ভিন্ন কোনও পদ্ধতি চলে আসবে তা নয়। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যা আছে এর মধ্যে যেগুলো ভালো সেগুলো আমরা গ্রহণ করছি। নতুন শিক্ষাক্রমে ছেলেমেয়েরা আনন্দের সঙ্গে পড়াশোনা শিখবে।’ শনিবার (২ অক্টোবর) চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘এই শিক্ষাক্রমে আনন্দের মধ্য দিয়ে ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা শিখবে। তারা কাজ করে শিখবে। কাজেই আমরা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবো। ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রশিক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি আমাদের টিচার্স গাইড তৈরি হবে। কাজেই শিক্ষকদের জন্য কোনও সমস্যা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য সব কিছুই করা হচ্ছে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০ বছর সব শিশুকে শিক্ষায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করেছে সরকার। যখন সবাইকে আমরা শিক্ষার আওতায় আনতে পেরেছি, তখন শিক্ষার মানকে উন্নত করার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। আগেও মানের দিকে নজর ছিল। কিন্তু তখন সংখ্যাটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। এখন মানই সর্বোচ্চ গুরুত্বের বিষয়। সে জন্য কারিকুলাম সংশোধন, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তির ব্যবহার, অবকাঠামো উন্নয়ন- এর সবকিছুর মধ্য দিয়েই মানসম্মত শিক্ষা দেওয়া সম্ভব বলে বিশ্বাস করি। সেজন্য শুধুমাত্র বইয়ের পড়াশোনা নয়, বাচ্চারা খেলাধুলার মধ্য দিয়ে শিখবে, আনন্দ, কাজকর্ম, সমাজের নানা রকম কাজকর্ম দিয়ে শিখবে। যেটিকে বলে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শেখা কিংবা করে শেখা। এই শেখাটা অনেক বেশি আনন্দময় হবে- আমরা সেটি চাই।’
গত মাসের ১২ই সেপ্টম্বর দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নানা নির্দেশনার মধ্যে দিয়ে চালু করেছে সরকার। এমনকি এই বছরের সকল বোর্ড পরীক্ষার ও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবশ্যে গত বছর কোন বোর্ড পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এবং শিক্ষার্থীদের আটোপাশের মধ্যে দিয়ে প্রমোশন দেওয়া হয়েছে। চলমান ক্ষতি নিরসন সহ দেশের শিক্ষা খাতের উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার।