পদ্মা সেতু নিয়ে অনেকে অপচার করেছেন তাদের মধ্যে অনেকের শাশ্তি ও হয়েছে। এই পদ্মা সেতু নির্মানের শুরু থেকে নানা ধরনের প্রতিকূলতা বাঁধা বিপতি অতিক্রম করতে হয়েছে বর্তমান সরকার মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের গৌরব ও গর্বের প্রতীক। এই সেতু দেশের মর্যাদার প্রতীক, আত্মসম্মানের প্রতীক, কারও কাছে মাথা নত না করে মাথা উঁচু করার প্রতীক, সক্ষমতার প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক। এমনই মানসিকতা থেকে নির্মিত হয়েছে ‘পদ্মার বুক অব ড্রিমস’ ছবিটি।
ছবিটি পরিচালনা করেছেন আলী আজাদ। শুটিং, ডাবিং, এডিটিং, এডিটিং শেষে সম্প্রতি জমা পড়েছে সেন্সর বোর্ডে। তবে পদ্মা সেতু নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে সিনেমাটি বন্ধ করে দেয় সেন্সর বোর্ড। এছাড়াও, সেন্সর শোতে যেসকল সদস্যরা ছবিটি দেখেছেন তারা খুবই অসন্তুষ্ট।
সেন্সর বোর্ডের উপ-পরিচালক মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে নির্মিত এই সিনেমা নিয়ে তাদের বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ রয়েছে। তারা বিষয়টি নির্মাতাকে জানান। এ ছাড়া সেন্সর বোর্ডের অন্যতম সদস্য চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান সিনেমাটি দেখে বেশ ক্ষুব্ধ হন।
সিনেমাটিতে পদ্মসেতুকে অবমাননা করা হয়েছে বলে দাবি করেন নির্মাতা। সোহান বলেন, পদ্মা সেতু সমগ্র জাতির জন্য একটি আবেগের জায়গা। শুধু নামের কারণেই দর্শকরা ছবিটি দেখতে যাবেন। সুতরাং লোকেরা এতে পরিবেশিত সমস্ত তথ্য সত্য বলে ধরে নেবে।
প্রযোজক বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত পরিচালকের দেওয়া অনেক তথ্যই ভুল। এ ধরনের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সম্পর্কে ভুল তথ্য দেশের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর। তাই আমরা প্রথমে সিনেমাটি সেন্সর না করতে রাজি হয়েছিলাম। পরবর্তী বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তাহলে কি সিনেমাটি মুক্তি পেতে দেওয়া হবে না? সোহানুর রহমান বলেন, “এটা আসলে বোর্ডের সব সদস্যের মতামতের ওপর নির্ভর করে। কয়েকদিনের মধ্যেই জানা যাবে। তিন দিন অতিবাহিত হলেও বোর্ড থেকে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
সিনেমাটির পরিচালক আলী আজাদ দাবি করেছেন, ভুল উপস্থাপনাটি সত্য নয়। আমার সিনেমায় কোনো ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয় না। যা দেখানো হয়েছে তা ইতিমধ্যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ‘পদ্মা বুকে সনৎসা সেতু’ ছবির পুরো শুটিং হয়েছে পদ্মা সেতু এলাকায়। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জু জন ও অলিভিয়া মাইশা। এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে রয়েছেন রায়হান মুজিব, হিমেল রাজ, খুকু, আনোয়ার সিরাজী, শান্ত পাল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, একটি সিনেমা প্রকাশিত হওয়ার পর সেইটি প্রকাশিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত কিনা সেটি নির্ধারন করেন সেন্সর বোর্ড। তারা সিনেমাটিকে পর্যবেক্ষন ও বিবেচনা করে সম্নতি দিলেই একটি সিনেমা মুক্তি পায়।