আগামী নির্বাচন কেন্দ্র করে দেশের বৃহত্তর দুটি দল আওয়ামীলী ও বিএনপি পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সংবিধানের বাহিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু বিরোধী দল বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে অনড়। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে রাজনৈতিক নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি তাদের আইনের বাহিরে এটির মীমাসাং রাজনৈতিক দলগুলোকে করতে হবে। বিএনপি দাবি প্রসঙ্গে মন্তব্য করে যা বললেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি নেতাদের চাওয়া আর আবদারের কোনো শেষ নেই। তারা কখনো নিরপেক্ষ সরকার, কখনো নির্বাচনকালীন সরকার, আবার কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং মাঝে মাঝে জাতীয় সরকার নিয়ে কথা বলেন। আসলে বিএনপি নেতারা কী চান, তা তারা নিজেরাও জানেন না।’
তিনি বলেন, নির্বাচনী সরকার নিয়ে দেশে কোনো সংকট নেই, বিএনপি ও তাদের নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্তে সংকট রয়েছে।
নির্বাচনকালীন সরকারের সংকট নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকারের অধীনে নয়। সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনকালীন স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা দেবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নতুন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে কথা বলছেন, সেটা একটা মীমাংসিত বিষয়। তাই এটা নিয়ে নতুন করে আলোচনার সুযোগ নেই।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে আন্দোলনে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই দলটি গড়ে উঠেছে। আন্দোলন কিভাবে মোকাবেলা করতে হয় তা আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে। রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ রাজপথে ছিল, আছে এবং থাকবে।
বিএনপির যে কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তবে আন্দোলনের নামে স/হিংসতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা হলে জনগণের জানমাল রক্ষায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দিতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।”
‘আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে’ বিএনপি মহাসচিব ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘যে দল তার নেতার মুক্তির জন্য রাজপথে একটা মিছিলও করতে পারে না, তারা আবার আন্দোলন করে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে- এমনটা জনগণ বিশ্বাস করে না। সরকার নয়, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে বিএনপি নেতাদের টপ টু বটম দল থেকে পদত্যাগ করা উচিত।’
ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, ‘রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ ও নির্বাচন কমিশনের আহ্বানে সংলাপে না গিয়ে বিএনপি ও তার দোসরেরা এখন নিজেদের মধ্যে সংলাপ করছে।’ আসলে সংলাপ নয়, বিএনপি সংলাপের নামে ষ/ড়যন্ত্র করছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি নিয়ে বিএনপির এ ধরনের ষ/ড়যন্ত্র দেশপ্রেমিক জনগণ মেনে নেবে না।
প্রসঙ্গত, বিএনপি আন্দোলন নামে যে ভয় দেখাচ্ছে তাদের এই হুমকিতে আওয়ামীলীগ ভয় পাইনা বলে মন্তব্য আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক। তিনি আরও বলেন, বিএনপি আন্দোলনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে তাদের আন্দোলন বক্তব্যের মধ্যে সিমাবদ্ধ।