এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পূর্ণিমার সাবেক স্বামীর স্ট্যাটাস, সাড়া ফেলল অনলাইনে

বাংলা সিনেমার বেশ সাড়া জাগানো একজন অভিনেত্রী দিলারা হানিফ রীতা। তবে ভক্তদের মাঝে ‘পূর্ণিমা’ নামেই অধিক পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। কয়ারিয়ারের শুরু থেকেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে। একের পর এক সুপার সিনেমা উপহার দিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন কোটি ভক্তের মনে। তবে সম্প্রতি এবার নতুন করে বিয়ের পিঁড়িতে বসে দেশের প্রতিটি সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে রয়েছেন গুণী এই অভিনেত্রী।

পাত্র আশফাকুর রহমান রবিন। তিনি পেশায় দেশের একটি বহুজাতিক কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। রবিন সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে তারা রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় একসঙ্গে বসবাস করছেন।

দুই পরিবারের সম্মতিতে গত ২৭ মে পূর্ণিমা-রবিনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলেও এখন পর্যন্ত তা গোপন রাখা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) প্রকাশ্যে আসে তাদের বিয়ের খবর। এ বছরের শেষ দিকে পূর্ণিমা-রবিনের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে।

গণমাধ্যমকে বিয়ের খবর নিশ্চিত করে পূর্ণিমা বলেন, ‘কাজের মাধ্যমে রবিনের সঙ্গে আমার পরিচয়। তিন বছরের পরিচয়ের পর থেকে বন্ধুত্ব, তারপর দেওয়া-নেওয়া।

এদিকে বিয়ের খবরে পূর্ণিমার প্রাক্তন স্বামী আহমেদ জামাল ফাহাদ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ফেসবুকে একটি পোস্টে পূর্ণিমার নাম উল্লেখ না করে ফাহাদ লিখেছেন, ‘দয়া করে আমাকে টেক্সট করা বা ফোন করা বন্ধ করুন। সবকিছু ঠিক আছে. মানুষের জীবনে অনেক কিছুই ঘটে। আমার সাথে কিছু শেয়ার করার দরকার নেই। আমি জানি… এর সাথে সৌভাগ্য কামনা করছি। আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন।

এদিকে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পূর্ণিমা বলেন, পরিবার ভাঙার জন্য কেউ বিয়ে করে না। পরিস্থিতি এবং বোঝার অভাব সম্পর্ক শেষ করতে বাধ্য করে। আমি মনে করি, এক্ষেত্রে দুজনেই সহনশীল হলে বিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না।

নায়িকার দাবি, আগের সংসার টিকিয়ে রাখতে অনেক চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু সফল হননি।

পূর্ণিমা বলেন, ‘আমার আগের সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য বারবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু অপর পক্ষের অসহযোগিতা আমাকে প্রতিকূল দিকে ঠেলে দেয়। যেহেতু আমি কখনই বিবাহবিচ্ছেদ চাইনি, তাই আমি সবসময় এই বিষয়টি এড়িয়ে চলেছি।

এদিকে বর্তমান স্বামী রবিন সম্পর্কে নায়িকা বলেন, ‘রবিন খুবই ত্যাগী মনের মানুষ। সে আমার সিনেমা, ব্যক্তি এবং আগের বিবাহিত জীবন সম্পর্কে জেনে আমার সঙ্গে বিয়ে শুরু করেন। তার (রবিনের) সহায়তায়, আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা হল আমার পরিবার এবং ক্যারিয়ারকে আগের মতো সুন্দরভাবে চালিয়ে যাওয়া।

এর আগে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বেশ জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে ২০০৭ সালে আহমেদ ফাহাদ জামালের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন পূর্ণিমা। তবে দাম্পত্য কলহের জের ধরে গত বছরেই (২০২১) বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে তাদের।