দুষ্টু ছেলে যারা তাদের গুরু হিসেবে খ্যাত নগরবাউল জেমস। আজ শনিবার অর্থাৎ ২ অক্টোবর পালিত হচ্ছে তার জন্মদিন। তিনি ৫৭ বছর বয়সী থেকে এবার ৫৮ এর জীবনে পা রাখলেন। এই জন্মদিনটিতে এই রকস্টার কোনো জমকালো আয়োজন ছাড়াই তার জন্মদিন উদযাপন করছেন। যাইহোক, তিনি কিন্তু তার এই বিশেষ দিন উপলক্ষে, তার যে সকল ভক্ত আছেন তাদের জন্য একটি বিশেষ ধরনের কিন্তু ভিন্ন এক বার্তা দিয়েছেন। ব্যান্ড জগতের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র বলেন, “যতক্ষণ তোমরা রয়েছো, ততদিন আমিও আছি।”
প্রতি বছর, জেমস ভক্তদের কাছ থেকে বিভিন্ন চ’মক পান। ভক্তদের কাছে ‘গুরু’ হিসেবে পরিচিত এই শিল্পী নিজেই তার জন্মদিনে সারা দেশের ভক্তরা বিভিন্ন কর্মসূচি শুরু করেছেন। প্রতিবছর জেমসের জন্মদিন উপলক্ষে ভক্তরা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের পাশাপাশি দু’স্থ ও হ’তদরিদ্র খাবার দিয়ে থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।
জেমসের মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বরাবরের মতো এবারো দিনটি পরিবারের সঙ্গে কাটাবেন জেমস। কেক কাটার আয়োজন রেখেছেন পরিবারের সদস্যরা। তিনি আরও জানান, ৬৪টি জেলায় নানান আয়োজনে পালিত হচ্ছে জেমসের জন্মদিন। ভক্তরা নিজ উদ্যোগেই প্রিয় তারকার জন্মদিন নিয়ে মে’তেছেন।
জেমসের সংগীতচর্চা পরিবারের লোকজন পছন্দ করতো না। সংগীতের টানে ঘর ছেড়ে চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিংয়ে থাকা শুরু করেন। সেখানে থেকেই তার সংগীতের মূল ক্যারিয়ার শুরু হয়। জেমস ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ব্যান্ড ‘ফিলিংস’। ১৯৮৭ সালে প্রথম অ্যালবাম ‘ষ্টেশন রোড’ প্রকাশ পায়। ১৯৮৮ সালে ‘অনন্যা’ নামের একক অ্যালবাম প্রকাশ করে সুপারহিট হয়ে যান জেমস। এরপর ১৯৯০ সালে ‘জেল থেকে বলছি’, ১৯৯৬ ‘নগর বাউল’, ১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’, ১৯৯৯ সালে ‘কালেকশন অব ফিলিংস’ অ্যালবামগুলো প্রকাশ পায়। এরপর ‘ফিলিংস’ ভে’ঙে জেমস গড়ে তোলেন নতুন লাইনআপে ব্যান্ড ‘নগর বাউল’। এই ব্যান্ড ‘দুষ্টু ছেলের দল’ এবং ‘বিজলি’ অ্যালবাম দুটির মধ্যেই আ’ট/কে যায়।
২০০৪ সালে কলকাতার সংগীত পরিচালক প্রিতমের সঙ্গে গান নিয়ে কাজ করেন জেমস। ২০০৫ সালে বলিউডে গ্যাংস্টার চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া ভিগি ভিগি গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এবং এক মাসেরও বেশি সময় গানটি বলিউড টপচার্টের শীর্ষে ছিল। ২০০৬ সালে আবারো বলিউডের ছবিতে কণ্ঠ দেন। ২০০৭ সালে তিনি লাইফ ইন এ মেট্রো চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া গান দুইটি হল রিশতে এবং আলবিদা। আর তাতেই বা’জিমাত।
ফারুক মাহফুজ আনামের জন্ম ২ অক্টোবর ১৯৬৪, যিনি জেমস নামে সর্বাধিক পরিচিত। তিনি একজন বাংলাদেশী গায়ক-গীতিকার, গিটারিস্ট, এবং সুরকার এবং একজন প্লেব্যাক গায়ক। তিনি ১৯৭৭ সালে তার প্রতিষ্ঠিত রক ব্যান্ড “নগর বাউল” এর প্রধান গায়ক, গীতিকার এবং গিটারিস্ট। জেমসের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা নওগাঁয়। কিন্তু, তিনি চট্টগ্রাম শহরে বড় হয়েছেন।
অনন্যা, পালাবে কোথায়, দুখিনী দু:খ করো না, ঠিক আছে বন্ধু এর মতো বেশ কিছু হিট অ্যালবাম দিয়ে জেমস সফল হয়েছেন এবং তিনি ব্যান্ডে একক ক্যারিয়ার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি এ পর্যন্ত বেশ কিছু ছবিতে গান করেছেন।