Sunday , November 24 2024
Breaking News
Home / Countrywide / পুলিশের উপ-কমিশনার লাবনী ও তার সাবেক দেহরক্ষী মাহমুদুলের আত্মহনন নিয়ে জানা গেল নতুন গুঞ্জন

পুলিশের উপ-কমিশনার লাবনী ও তার সাবেক দেহরক্ষী মাহমুদুলের আত্মহনন নিয়ে জানা গেল নতুন গুঞ্জন

কেএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) খন্দকার লাবণী আক্তার ও তার সাবেক দেহরক্ষী মাহমুদুল হাসানের আত্মহননের খবর বলতে গেলে সবারই জানা। তাদের দুজনার আত্মহননের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে অজানা অনেক রহস্য আর সেই রহস্য উদঘাটন করতেই চলছে তদন্ত। সম্প্র‍তি এডিসি ও তার সাবেক দেহরক্ষীর আত্মহনন নিয়ে জানা গেল নতুন গুঞ্জন।

মাগুরার শ্রীপুর জেলা পুলিশ লাইনসে কেএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) খন্দকার লাবণী আক্তার ও তার সাবেক দেহরক্ষী মাহমুদুল হাসানের আত্মহননের রহস্য উদঘাটনে পুলিশি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সুস্পষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, লাবনির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ডিজিটাল পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যে ফরেনসিক বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে, যেখানে কল তালিকা চেক করা হবে। লাবনী আক্তারের আত্মহননের তদন্তের দায়িত্বে থাকা মাগুরার শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিলুফা ইয়াসমিন জানান, তদন্ত চলছে। এটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।

অপরদিকে মাগুরা পুলিশ লাইন্সে আত্মহননকারী এডিসি লাবনী আক্তারের সাবেক দেহরক্ষী পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের তদন্তের দায়িত্বে থাকা মাগুরা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সাইফুল ইসলাম বলেন, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। সব দিক বিবেচনা করে আমরা ঘটনাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। তবে এখনো কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি।

শ্রীপুর থানার ওসি প্রীতন সরকার জানান, পুলিশ কর্মকর্তা লাবনী আক্তারের বাবা-মা বারবার বলার চেষ্টা করেছেন স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের কারণে লাবনী আত্মহনন করেছে। তবে আমরা সব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এ বিষয়ে স্পষ্ট করে বলার সময় এখনো আসেনি।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) খন্দকার নবনী আক্তার গত ২০ জুলাই রাতে গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহনন করেন। বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা পুলিশ লাইন্সের পুলিশ ব্যারাকের ছাদে নিজের অস্ত্র দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন পুলিশ কর্মকর্তা লাবনী আক্তারের সাবেক দেহরক্ষী পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান। ঘটনার স্থান ও সময় ভিন্ন হলেও আত্মহননের ঘটনা দুটি একই সূত্রে জড়িত বলে অনেকে মনে করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জনও শুরু হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একটি সূত্র দাবি করেছে, মূলত অসম সম্পর্কের কারণেই দুটি আত্মহনন হতে পারে।

এদিকে ক্যানসারে আক্রান্ত পুলিশ কর্মকর্তা খন্দকার লাবণী আক্তারের স্বামী বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক তারেক আবদুল্লাহ স্ত্রীর প্রয়ানের খবর শুনে গত ২১ জুলাই ভারত থেকে দেশে ফেরেন। লাবনী আক্তারের ছোট ভাই হাসনাতুল আজম প্রিন্স নিশ্চিত করেছেন যে, ২১শে জুলাই বৃহস্পতিবার লাবনীর লাশ দাফনের পরদিন শুক্রবার তিনি ওই দুই মেয়েকে নিয়ে ফরিদপুরের বাড়িতে যান। বর্তমানে তারেক আবদুল্লাহ ফরিদপুরের বাড়িতেই অবস্থান করছেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে এডিসি খন্দকার লাবনী আক্তারের স্বামী তারেক আবদুল্লাহ মুঠোফোনে বলেন, বর্তমানে আমি মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত। আমি এখনই এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না। মেয়েরা কেমন আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভালো আছেন। এডিসি খন্দকার লাবণী আক্তারের বাবা সাবেক স্কুল শিক্ষক প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আজম বলেন, ঘটনার পর থেকে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আমি ক্লান্ত। আমি এখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। আমার মেয়ের আত্মহননের পেছনে স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহ ছাড়া অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়।

প্রসঙ্গত, একজন এডিসি হয়ে হঠাৎই কেনো নিনেল জীবনের এত বড় একটি সিদ্ধান্ত সেইটাই ভেবে পাচ্ছেনা অনেকে। তার সাবেক দেহরক্ষী কেনো করলো আত্মহনন তারও কোনো হিসেব মিলাতে পারছেনা কেউ। তাদের দুজনার প্রয়ান রহস্যে ঘেরা।

About Shafique Hasan

Check Also

সংস্কারের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি-লুটপাট

সংস্কার ও উন্নয়নের নামে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে হরিলুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *