Sunday , November 24 2024
Breaking News
Home / International / শেখ হাসিনার শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির কারণে ভারতের মাটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা, কারন জানালেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী

শেখ হাসিনার শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির কারণে ভারতের মাটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা, কারন জানালেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী

সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ রক্তে রক্ত রুখে দিতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কিছু কঠোর পদক্ষেপের জন্য প্রশংসা কুড়ালেন ভারত থেকে। তিনি বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ভাবে বজায় রাখার জন্য এই প্রশংসা অর্জন করেন।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, স”ন্ত্রা/সবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতির কারণে ভারতের মাটিতেও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে ভারতে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। ড. বিশ্ব শর্মা মঙ্গলবার রাতে আসা”মের গুয়াহাটিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘কাইনধারা’-তে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার দৃঢ় পদক্ষেপের কারণে আসাম ভারতের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজ্যে পরিণত হয়েছে।

উল”ফা (আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন) নেতাদের বিরুদ্ধে তার পদক্ষেপ আসামে শান্তি আনতে অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করেছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে ঢাকা থেকে গুয়াহাটি সরাসরি ফ্লাইট সংযোগ শুরু হবে উল্লেখ করে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাস পরিষেবা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের আগে থেকেই চালু ছিল। এখনই চালু হলে ঢাকা থেকে সিলেট, ভায়া টাওকি থেকে শিলং যাওয়ার বাস থাকবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সেখানকার জনগণের ভূমিকা তুলে ধরে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, আসাম ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে র”ক্তের সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এই সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানানোর জন্য প্রতিনিধিদলকে অনুরোধ জানিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, শেখ হাসিনার দৃঢ় পদক্ষেপের কারণে এই রাজ্যে এখন ভারতের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের মাটিতে স/”ন্ত্রা”সবাদের বিরুদ্ধে তার দৃঢ় অবস্থান রাজ্যটিকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে। সংগঠন নেতাদের বিরুদ্ধে তার পদক্ষেপ আমাদের দারুণভাবে সাহায্য করেছে। এজন্য আমরা তার প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।

সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের আসাম সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার মাধ্যমে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি। শেখ হাসিনা যদি সে সময় সংগঠনটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতেন (অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টাকালে) তাহলে আজকে আমরা এই শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রে আপনাদারকে আমন্ত্রণ জানাতে পারতাম না।

মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে যে গর্বের মূহুর্তের আয়োজন করা হয়েছে তার সাক্ষী হতে পারতাম না। বিশ্ব শর্মার বক্তব্যের আগে বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ড. শমসের মবিন চৌধুরী (বীর বিক্রম) বক্তব্য দেন। তিনি বিশ্ব শর্মাকে তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্রও হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারের প্রাচ্য কার্য পরিক্রমাবিষয়ক মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী, মুখ্য সচিব জিষ্ণু বড়ুয়া, সচিব মানবেন্দ্র প্রতাপ সিং এবং সিনিয়র তথ্য অফিসার ইফতিখার জামান।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভুয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর মতো একটা স্থাপনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে, যেটা প্রশংসার দাবি রাখে। এছাড়া তিনি বলেন বাংলাদেশ আসামের নিকট একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অনেকের নিকট অনুকরনীয় হওয়া উচিৎ।

About bisso Jit

Check Also

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিকের অভিযোগ, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দাবি তোলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *