প্রেমের টানে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে রাজশাহীতে এসেছেন মালয়েশিয়ান তরুণী স্যান্ডি। প্রেমের টানে বাবা-মা পরিবার ছেড়ে রাজশাহীতে পাড়ি জমান তিনি।
এখানে আসার পর জুলফিকারের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন স্যান্ডি। বিয়ের পর আলিশা অ্যানি জানান, বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ। আগামী সপ্তাহে স্বামী জুলফিকারের সঙ্গে নিজ দেশ মালয়েশিয়ায় ফিরতে চান তিনি। তারা দুজনেই তাদের ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠার জন্য সেখানে কাজ করতে চান।
তিনি মালয়েশিয়ায় একজন পাসপোর্ট অফিসার এবং তার স্বামী জুলফিকার এখন একজন ব্যবসায়ী। তবে তিনি বাংলাদেশ ও রাজশাহীকে খুব পছন্দ করেন। সে খুব খুশি এবং আনন্দিত যে তার শাশুড়ি তাকে পছন্দ করে এবং তাকে পুত্রবধূ হিসেবে গ্রহণ করে। সে চায় তার শাশুড়ি ঘরের কাজ করুক। কিন্তু মালয়েশিয়ান বধূ আরও বলেন, তার শাশুড়ি তাকে ভালোবাসার বাইরে কিছু করতে দেন না।
এদিকে মালয়েশিয়ান মেয়ে স্যান্ডি অর্থাৎ বিদেশি বধূকে দেখতে জুলফিকারের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা। যদিও ভাষার সমস্যা আছে, স্যান্ডি ইতিমধ্যে তার মা এবং ভাইবোনদের সাথে একটি ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। তবে স্যান্ডির সঙ্গে সবার কথাবার্তায় দোভাষী হিসেবে কাজ করছেন রাজশাহীর ছেলে স্বামী জুলফিকার।
তবে বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে তার খুব কষ্ট হবে বলেও মন্তব্য করেণ তিনি। এতো বাংলাদেশে থাকার পর এখানকার লোকেদের উপর তার অৎভূত এক মায়ার সৃষ্টি হয়েছে।