বাংলাদেশের আলোচিত সংগীত শিল্পী এস আই টুটুল। আলোচিত এই শিল্পী অসংখ্য জনপ্রিয় গান গেয়ে দর্শকের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। জনপ্রিয় এই শিল্পী ভালোবেসে বিয়ে করেন করেন জনপ্রিয় নাট্য অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদকে। পরে দীর্ঘ ২৩ বছরের সংসার ইতি টেনে আবার বিয়ে করলেন সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল। এবার সংগীত শিল্পী এস আই টুটুল বিয়ে করা প্রসঙ্গে নিয়ে যা বললেন সে সোনিয়া।
চলতি মাসের ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসে বিয়েরপিঁড়িতে বসেন সংগীতশিল্পী টুটুল ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী উপস্থাপিকা শারমিন সিরাজ সোনিয়া। দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদের সঙ্গে ২৩ বছরের সংসার ভেঙে টুটুলের এই বিয়ে নিয়ে সমালোচনা চলছে।
মঙ্গলবার সকালে টুটুলের সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের বিষয়ে মুখ খুললেন সোনিয়া।
সোনিয়া বলেন, সংগীতশিল্পী এসআই টুটুলকে আগে থেকেই চিনতাম। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অনুষ্ঠানে আমাদের দেখা হয়েছিল। কিন্তু সেই অর্থে কোনো পরিচয় ছিল না। দেখা হলে শুধু তাকে সালাম দিতাম, এটুকুই। সে আমার ফেসবুকেও ছিল না। আরটিভির রিয়েলিটি শো ‘বাংলার গায়েন’ গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হয়। বিচারক ছিলেন এসআই টুটুল, ইমন সাহা ও শওকত আলী ইমন। সেই আয়োজনের উপস্থাপনা করি আমি। আর সেই মঞ্চেই দুজনে একে অপরকে ভালোভাবে পরিচয় হয়। আমরা সেখানে বেশ কিছু দিন শুটিং করি, আমরা সবাই অনেক দুষ্টুমি করি এবং মজা করি।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের শেষ দিকে টুটুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। ফলে এ সময় তিনি খুবই একাকী ছিলেন। ভেতরে ভেতরে কষ্টে পুড়ছিলেন। এরই মধ্যে একদিন তিনি আমাকে বললেন, ‘কত দিন পৃথিবীতে থাকব, তুমি কি আমার হাত ধরে আমার পাশে থাকবে?’ শুরুতে সিরিয়াসলি নিইনি। আমি ভেবেছিলাম আপনি মজা করছেন। এরপর তাদের ফোনে কথা বলা শুরু হয়। তার একাকী জীবন আমাকে নাড়া দিয়েছে। একজন মানুষ হিসেবে তার চিন্তাভাবনা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে। অনেক দিন ধরে মেডিটেশনে থাকায় তার ধ্যান-ধারণায়ও নানা পরিবর্তন এসেছে। তার প্রতিটি জিনিসই আমার ভালো লাগল। তার জন্য কষ্ট হলো, মায়া জন্মালো।
সোনিয়া বলেন, ‘আমেরিকায় আমার যে ব্যস্ত জীবন, আমার পক্ষে প্রেম-ডেট এগুলো করা সম্ভব নয়। আমি একটি ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছাদূত, তার ওপর সিঙ্গেল মাদার, আরও নানা কাজের ব্যস্ততা। সব মিলিয়ে ওসব করার সময় নেই। সেটি তাকে জানিয়ে দিয়ে বললাম, আপনি যদি সংসার করতে তা হলে আমরা সেটি নিয়ে আলাপ করতে পারি, দুজন দুজনকে বুঝতে পারি। এর পর আমরা দেখা করি, একে অন্যকে আরও গভীরভাবে জানি। আমেরিকায় তার এবং আমার দুজনেরই বোনেরা থাকেন, তাদের সঙ্গে কথা বলি, পরিবারকে জানাই। তার পর সব জেনে ও বুঝে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। গত ৪ জুলাই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশি রীতিতে আমরা নিকাহ করেছি। ইচ্ছা ছিল কয়েক মাস পর বড় আয়োজন করে সবাইকে জানিয়ে সুখবরটা দেব। কিন্তু তার আগেই তো সবাই জেনে গেল।’
অবশেষে তিনি বলেন, অনেক কষ্টের পর টুটুল ডানা ভাঙা পাখির মতো আমার কাছে এসেছে। এই সময়ে তার এই সমর্থন দরকার ছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে দু’জন মানুষ যাদের ভাঙা ঘর আছে তারা যদি একত্রিত হয়ে একটি পরিবার গড়ে তোলে, তবে সবারই খুশি হওয়া উচিত। খুব খারাপ লাগে যখন কিছু মানুষ এটা না করে না বুঝে সমালোচনা করে। সকলের কাছে প্রার্থনা করি আমরা যেন আমাদের বাকি জীবন সুখে শান্তিতে কাটিয়ে দিতে পারি।
প্রসঙ্গত, দুই জনের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠার পর তা বিয়েতে পরিণত হয় বলে মন্তব্য করেন সোনিয়া। তিনি আপেক্ষ করে বলেন না বুঝে অনেকেই সমালোচনা করায় বিষয়টি নিয়ে কষ্ট পান।