Sunday , November 24 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এবার সরকারের দেশ চালানো নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মোশাররফ

এবার সরকারের দেশ চালানো নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মোশাররফ

ক্ষমতাসীন সরকার উন্নয়নের নামে দেশের টাকা লুটপাট ও পাচার করছে বলে বিএনপির নেতারা মন্তব্য করেছেন। সরকারের দুর্নীতির ও নৈরাজ্যের কারনে আজ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে বলে দাবি করে বিএনপির। বিদ্যুৎ সেক্টরে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এমন বক্তব্য এমন দাবি সঠিক না বলে প্রমান হয়েছে। সরকার ঋণ নিয়ে দেশ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করে যা বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকার দেশে মেগা প্রজেক্টে মেগা লুটপাট করছে। আজ তারা রিজার্ভ থেকে ঋণ নিয়ে দেশ চালাচ্ছে।

কিন্তু রিজার্ভ থেকে ঋণ নেওয়ার নিয়ম নেই। দেশের অর্থনীতি আজ বিপর্যয়ের মুখে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্বাধীনতা ফোরাম এ স্মরণ সভার আয়োজন করে।

মোশাররফ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী একবার বলেছিলেন, ‘লোডশেডিং আমরা জাদুঘরে পাঠিয়েছি’, তাহলে এখন আবার লোডশেডিং হচ্ছে কেন? আজ বিদ্যুৎ খাতে কুইক রেন্টালের নামে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রচুর টাকা লুটপাট করা হচ্ছে।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় ও ইশতিয়াক আহমেদ বাবুলের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন ও ছেলে জিয়া আহমেদ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, সরকার দেশের টাকা লুটপাট করে ঋণ নিয়ে দেশ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি আরও বলেন, সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের কারনে দেশের অর্থনৈতিক আজ হুমকির মুখে পড়েছে।

About Babu

Check Also

সংস্কারের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি-লুটপাট

সংস্কার ও উন্নয়নের নামে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে হরিলুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *