আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা চলচ্ছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহন করবে কি না এমন প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। নির্বাচন বিষয়ে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে অনড় অবস্থান বিএনপির বলে জানানো হয়েছে দলটি পক্ষ থেকে। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সংবিধানের বাহিরে নির্বাচন সম্ভব নয়। কূটনৈতিকদের সাথে বৈঠকের বিষয়ে যা বলল বিএনপির নেতারা।
নির্বাচন, আন্দোলন কিংবা ক্ষমতার পরিবর্তন সব কিছুর ফয়সালা হবে রাজপথে.. আর এ জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বিএনপি। দলটির শীর্ষ নেতারা জানান, ঈদের পর কূটনৈতিক বা রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেছে দলটি।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েন লুইস গত মঙ্গলবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেন। পরদিন ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি দলের সাথে বসেন। এসব বৈঠক নিয়ে বিএনপি মুখ না খুললেও ক্ষমতাসীনরা মন্তব্য করছেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিদেশীদের সাথে বিএনপি আলাপ-আলোচনা করে যদি মনে করে যে আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করবে তবে সেটা কোনদিনই পারবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, এটা কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক নয়, সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। বলেন, বিএনপি আন্দোলন বা ক্ষমতার জন্য নয়; বরং আওয়ামী লীগ বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল।
তিনি আরও বলেন, ওরা নিজেদের চেহারাটা আয়নায় দেখে না। আমরা যখন ২০০৭ সালে ক্ষমতায় ছিলাম, তখন ওরা কি করছে সেটা ওরা জানে না? শেষ পর্যন্ত ইউএনএ’র যে রিপ্রেজেন্টেটিভ ছিল তার কাছে ফলস চিঠি নিয়ে আর্মিদের কাছে দিয়েছিল। আমরা জানি না যে ওরা ওয়াশিংটনের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াইছে বিএনপিকে হটানোর জন্যে, বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল বানানোর জন্যে। ব্যাপার হয়েছে যে ওরা যেটা করে সেটা সবসময় অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টায় থাকে। আওয়ামী লীগের প্রথম থেকেই এটা অভ্যাস।
একই মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদও। তিনি বলেন, বিদেশীদের কাছে ধরনা দেয়ার বহু দৃষ্টান্ত আছে আওয়ামী লীগের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কখনই কোনো বিদেশীর ওপর নির্ভর করেনি। সম্প্রতি আমরা দেখেছি বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে তাদের সহায়তা চেয়েছেন। তিনি সব রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ঈদ পুনর্মিলনী করেছেন। তো ঈদ পুনর্মিলনী তো করবে জনগণের সাথে। ধরনাতো ওনারাই দেয়, ধরনাতো আমরা দেই না।
দলটির নেতারা জানান, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ইশতেহার তৈরি করছে। এর পাশাপাশি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ে আন্দোলন জোরদার করার চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, বিদেশীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিএনপি আন্দোলনে চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি আরও বলেন, বিদেশীদের সাথে আলোচনা করে কোনো লাভ নেই তারা কখনো বিএনপিকে ক্ষমতা বসিয়ে দেবে না।