Sunday , December 22 2024
Breaking News
Home / Countrywide / জানা গেল যে সকল কারনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় দুই সহস্রাধিক সদস্য হাসিনার বাড়ি ঘেরাও

জানা গেল যে সকল কারনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়

বাংলাদেশ বর্তমান ক্ষমতাসীন  সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা তিনি । বাংলাদেশকে উন্নত ও ডিজিটাল করার লক্ষ্যে যার কোন তুলনা নেই।  আজ সেই বঙ্গবন্ধুকন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও  বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন জালিয়াতি, হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার হন।

এ সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে আড়াই লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে জমা দেয়। এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আবার ফিরে এসেছে। গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একই সঙ্গে গড়ে ওঠে।

দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে দলটি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলো পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

ওই দিন ভোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাসভবন সুধা সদন সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ঘিরে ফেলে। এ সময় শেখ হাসিনা ফজরের নামাজ পড়ছিলেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা শেখ হাসিনাকে হয়রানি ও মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে সুধা সদন থেকে বের করে নিয়ে আসে এবং যৌথবাহিনীর সদস্যরা তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হেফাজতে পাঠায়। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী, আদালতের কার্যক্রম শুরুর নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা আগে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জামিন আবেদন অবৈধভাবে খারিজ করে দেন। খবর: বাস

শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে রুদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল। শেখ হাসিনা আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে প্রায় ৩৬ মিনিটের জ্বালাময়ী বক্তব্যের মাধ্যমে তৎকালীন সরকারের ঘৃণ্য রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করেন।

গ্রেফতারের আগে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশে এক চিঠির মাধ্যমে গণতন্ত্র রক্ষায় মনোবল না হারিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর অব্যাহত প্রতিরোধ আন্দোলন, আপসহীন ও দৃঢ় মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১১ জুন তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ১১ মাস কারাভোগ ও নানা ষড়যন্ত্রের পর শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা এবং দেশবাসীর অনড় দাবি।

এদিকে জেল দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি সকল বাঙালির হৃদয়ে দেশপ্রেমের শিখা জ্বালিয়ে ঐক্যবদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

About Nasimul Islam

Check Also

চরম উত্তাল, কক্সবাজারের পাশে জন্ম হচ্ছে নতুন দেশ

বাংলাদেশের পাশেই আত্নপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে একটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের। যে কোনো সময় নতুন দেশটি আত্মপ্রকাশ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *