সম্প্রতি কিছুদিন আগেই সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে ঘুমের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা। তাকে হারানোর শোক কাটিয়ে উঠছে পারছে না পরিবার পরিজন। অন্যদিকে গুণী এই অভিনেতার মৃত্যুর খবরে একেবারেই ভেঙে পড়েছেন তার খুবই কাছের একজন মানুষ শেহনাজ। অসময়ে তাকে হারিয়ে অনেকটা একাকী বোধ করছেন তিনি।
এদিকে সিদ্ধার্থের শেষকৃত্যের দিনও সংবাদমাধ্যমের সামনেই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। এ সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন আর এক অভিনেত্রী দেবলীনা ভট্টাচার্য ।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেবলীনা জানিয়েছেন, শেহনাজ এই ঘটনার পর নিজের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, জীবন খুব ছোট। তাই কারও উপর রাগ ক্ষোভ এগুলো পুষে রাখার কোনও মানে নেই। সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পর শেহনাজ আরও পরিণত হয়েছেন বলে দাবি দেবলীনার। সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পর থেকে জীবনের মানে বদলে গিয়েছে শেহনাজের।
দেবলীনা বলছেন, “বলা হয়, মৃত্যুর পরে শুধু শরীরটা আমাদের ছেড়ে চলে যায়। থেকে যায় তার আত্মা। সেই আত্মা যদি শান্তিতে মুক্তি পায় তাহলে সে আবার জন্ম নিতে পারে। আবার পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারে। তাই আমি সিদ্ধার্থের আত্মার জন্য সব সময় প্রার্থনা করি। আমি চাই ও যেন ভালো ভাবে ফিরে আসতে পারে। সিদ্ধার্থের মাকে সমবেদনা জানাই।”
দেবলীনা জানিয়েছেন, “সিদ্ধার্থের মায়ের মনের জোর বেশি। কিন্তু শেহনাজ ভেঙে পড়েছেন। এই আঘাত থেকে বেরিয়ে আসতে তার সময় লাগবে। সিদ্ধার্থের স্বপ্নগুলো আশা করি শেহনাজ পূরণ করবে। ওর প্রতি আমার অনেক ভালোবাসা রয়েছে। আমি জানি স্বাভাবিক হতে ওর সময় লাগবে। শুধু চাইব, ও সিদ্ধার্থের সব স্বপ্ন পূরণ করুক। প্রথম দিন আমি কথা বলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা ঠিক সময় ছিল না। খুব কঠিন সময়ে এটা শেহনাজ এর জন্য। কেউ কথা বললেও এই যন্ত্রণা মিটবে না।”
বিগ বস ১৩ তে সিদ্ধার্থ ও শেহনাজ গিলের রসায়ন দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলে দেয়। বিগ বস থেকে বেরিয়েও দুজনের সম্পর্ক অটুট ছিলো এবং একসঙ্গে বেশ কিছু কাজও করেছেন তারা। সিদ্ধার্থ ও শেহনাজের ভালোবাসার সম্পর্ক নিয়ে ‘সিলসিলা সিদনাজ কা’ নামে একটি সিনেমা মুক্তি পায়। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পরেই তারা বিগ বস ওটিটি তে গিয়েছিলেন প্রচার করতে।
এদিকে গুণী এই অভিনেতাকে হারানোর শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ভক্ত ও অনুরাগীরাও। খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই সবার মাঝেই জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি, ফলে এতো অল্প সময়ে তাকে ভুলে যাওয়া কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। মৃত্যুর পর তার সঙ্গে যেন ভালো কিছু হয়, এমনই প্রত্যাশা সবার।