Sunday , November 24 2024
Breaking News
Home / Countrywide / যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা নিয়ে কঠিন অভিজ্ঞতার কথা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা নিয়ে কঠিন অভিজ্ঞতার কথা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের বিশেষ বাহিনী র‍্যাব এবং কয়েকজন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ বিষয়টিকে কূটনৈতিক পর্যায়ে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করলেও তেমন কোনো সফলতা পায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি কোনোভাবেই কাম্য নয়। এবার যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার প্রয়োগ করে দেশের স্বার্থ ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। বুধবার (৭ জুলাই) বিকেলে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিক্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ডিক্যাবের সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার খুবই স্বচ্ছ।

আমরা বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তবে কিছু ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত স্বাধীনতা সমস্যার সৃষ্টি করেছে বলে তিনি জানান। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, সেখানে সব স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রিত এবং সবাইকে মনে রাখতে হবে স্বাধীনতার একটা সীমাবদ্ধতা আছে।

তিনি বলেন, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে দেশে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে। এটা পুরো অঞ্চলের জন্য ভালো। আমরা স্থিতিশীলতা এবং চিত্তাকর্ষক প্রবৃদ্ধি রয়েছে। সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত সবাই দেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিভ্রান্তির কথা বলতে গিয়ে মোমেন বলেন, কেউ যেন দেশ ও স্বার্থের ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা সবাই এই দেশকে ভালোবাসেন। আমরাও ভালোবাসি। মানুষের কল্যাণের কথা মাথায় রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আপনারা যারা সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে তাদের দুঃখ-দুর্দশা এবং সমাজ বা দেশের অসামঞ্জস্যতা তুলে ধরে সমাধানের পথ সুগম করেন, তাদের প্রতি অনুরোধ মানুষের কল্যাণের জন্য আপনারা কাজ করবেন। কোন ধরনের ভুলের ভিতরে কেউ যেন অযথা হয়রানি বা সমস্যায় না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

About bisso Jit

Check Also

সংস্কারের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি-লুটপাট

সংস্কার ও উন্নয়নের নামে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে হরিলুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *