বিয়ে-বিচ্ছেদ অতঃপর নতুন করে সম্পর্কে জড়িয়ে সম্প্রতি গত বেশকিছু দিন ধরে নানা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় ও আলোচিত অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। পরপর দুইবার বিয়ে ভাঙার পর তৃতীয়বারের মতো রোশান সিংয়ের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন এই শ্রাবন্তী। কিন্তু দাম্পত্য জীবনের কিছুদিনের মধ্যেই দেখা দিয়েছ নানা কলহ।
মনের দূরত্ব তৈরি হয়েছে অনেক আগে। প্রায় এক বছর এক ছাদের তলায় থাকেন না রোশান-শ্রাবন্তী। কাগজে কলমে তিন নম্বর বিয়ে পাট চুকিয়ে ফেলতে চান অভিনেত্রী। চলতি মাসেই প্রকাশ্যে এসেছে আলিপুর আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন শ্রাবন্তী। এর মাঝেই স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন রোশান। গত ১৬ সেপ্টেম্বর আলিপুর আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন শ্রাবন্তী, এমনটাই জানা যায় গত ১৯ তারিখ। কিন্তু রোশান জানালেন, ১২ দিন পরেও তিনি কোনো ডিভোর্স নোটিশ পাননি।
এক সাক্ষাৎকারে শ্রাবন্তীর তিন নম্বর স্বামী জানান, নায়িকার অনেক বন্ধুর সঙ্গেই তার যোগযোগ রয়েছে। আর সেখান থেকেই তিনি জানতে পেরেছেন ঘনিষ্ঠমহলে রোশানকে নিয়ে নানান বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে চলেছেন নায়িকা। রোশানের অনুযোগ, ‘আমি শুনছি শ্রাবন্তী নাকি বলেছে, আমি মোটা। ওজন বেশি হওয়ার জন্য আমি নাকি সঙ্গমে সক্রিয় নই’। এই ধরনের কুরুচিকর মন্তব্যে মর্মাহত রোশান। রোোনের কথায় শ্রাবন্তী নিজে সরাসরি একথা তাকে না বললেও, যাদের মুখে তিনি একথা শুনেছেন তারা সকলেই বিশ্বস্ত বন্ধু।
রোশান এই ধরনের হেনস্থার মুখে পড়ে মারাত্মক বিস্মিত। কেন তাকে এমন প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হতে হবে? রোশানের কথায়, তাকে চোর অপবাদও দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, তিনি নাকি শ্রাবন্তীর ১ কোটি টাকা নিয়ে চলে গেছেন। এমনকি রোশানের সাবেক প্রেমিকাকে ফোন করে বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানানো হচ্ছে, এসব কথার মানে খুঁজে পাচ্ছেন না রোশান। রোশান অকপটে বলেন, ‘ওদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বেশি। ওরা চাইলে আমার সঙ্গে নাকি যা খুশি করতে পারে। আমার পরিবারকেও টেনে এনে অসম্মান করা হচ্ছে।’
রোশানের কথায়, তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে শ্রাবন্তী যেন তা আদালতে করেন। পরিস্থিতিকে এভাবে কলুষিত করবার কোনো প্রযোজন নেই, দাবি তার।
উল্লেখ্য, দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০১৯ সালে রোশান সিংয়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন শ্রাবন্তী। কিন্দু বিয়ের কিছুদিন পরেই গুঞ্জন ওঠে, দাম্পত্য জীবন ভালো যাচ্ছে না তাদের। এরপর একটু দেরি হলেও একপর্যায়ে শ্রাবন্তী নিজেই নিশ্চিত করেন, একই ছাদের নিচে থাকা হচ্ছে না তাদের।