প্রায় বছর খানেক আগে দুই পরিবারের সম্মতিতে তামিম হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় রিমু আক্তারের (২২)। কিন্তু বিয়ের মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই স্বামীর শারীরিক ও মানষিক নি’র্যা’ত’নের শিকার হতে থাকেন গৃহবধূ রিমু। নেশার টাকার জন্য বিভিন্ন সময় তাকে চাপ দিতে থাকেন তামিম। আর এরই মধ্যে এলে ঐ গৃহবধুর মৃ/ত্যু/র খবর।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে রিমু আক্তারের মৃ/ত/দেহ রেখে পালিয়ে গেছে স্বামীর পরিবার। সোমবার এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি অ/প/মৃ/ত্যু/র মা/ম/লা দায়ের করেছে। মৃ/ত রুমি আক্তার (২২) শহরের দক্ষিণ সালন্দর শান্তি নগরে স্বামী তামিম হোসেনের পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় একজন /মৃ/ত নারীকে নিয়ে কিছু মানুষ হাসপা/তালে আসেন। কিছু সময় পরেই হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ডে /লা/শ/টি/ ফেলে তারা পা/লিয়ে যায়। পরে হাসপাতাল ক/র্তৃ/পক্ষ থানায় খবর দেয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে পেরেই অজ্ঞা/ত পরিচয়ের /লা/শ/ উ/দ্ধা/র করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি অপারেশন জিয়ারুল জিয়া। তিনি জানান, /লা//শটি থানায় আনার পর আমরা গৃহবধূর পরিবারের সন্ধান করতে থাকি। পরে /মৃ/তের পিতার পরিবারের সন্ধান পেয়ে তাদের অবগত করা হয়। এ ঘটনায় মাম/লা হয়েছে। তদন্তও চলছে।
নিহত গৃহব/ধূ রিমু/র বাবা আলম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনেক আশা নিয়ে ১০ মাস আগে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। তবে জামাই নেশা করে। মাঝে মাধ্যেই মেয়েকে নি/র্যা/ত/ন কর/তো। বেশ কয়েকবার মেয়ে জামাইকে বুঝিয়েছি। কোনো লাভ হয়নি। কিন্তু মেহেদির রং না মোছতেই এবার তারা মেয়েটাকে মে/রে/ই ফে/ল্লো/। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। জানি না কার কাছে গেলে সঠিক বিচার পাব।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম জানান, মেয়েটির স্বামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ অভিযোগের আলোকে তামিমের পরিবারের সঙ্গে মুঠো ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে কিছুই জানা যায়নি। এদিকে /মৃ/ত/দেহ ম/য়/না/তদন্তে/র জন্য হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।