বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান, তিনি বেশ কয়েক মাস ধরে দেশের বাইরে রয়েছেন। জানা গেছে তিনি যুক্তরাস্ট্রে গ্রীন কার্ড পেয়েছেন। অর্থাৎ, সেখানে তিনি অনেকটা স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করার বন্দোবস্ত করলেন। কিন্তু গতকাল তিনি শিল্পী সমিতি নিয়ে একটি মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন।
আবারও আলোচনায় এসেছেন দেশের সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা শাকিব খান। তবে কোনো সিনেমার কারণে নয়, গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ‘ভুয়া সংগঠন’ বলে উল্লেখ করেছেন।
অমিত হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, শাকিব যদি এই ধরনের বক্তব্য দিয়ে থাকে এবং সেটা যদি সত্য হয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অমিত হাসান বলেন, “আমি আগে থেকে কোনো মন্তব্য করবো না। কারণ আমি যদি তার (শাকিব খানের) কণ্ঠের ভিডিও শুনতে পাই, তাহল….. একজন বললো আর লিখলাম! আমি শাকিবকে নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য করবো না। কিন্তু তিনি যদি কিন্তু ও যদি সত্যি বলে থাকে তখন অনেক কথা বলার থাকবে।তারপর তাকে সমিতিতে ডাকা হবে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমিতি নিয়ে তিনি যদি কোনো কথা বলে থাকলে সমিতি তাকে ডাকবে। কোন শিল্পীর সমিতিতে ছোট করার অধিকার নেই।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সদস্য অমিত হাসান। শাকিব খান দুইবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তার সঙ্গে এক সময় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন অমিত হাসান।
উল্লেখ্য, শাকিব খান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। প্রায় সাত মাস পর আগামী সপ্তাহে দেশে ফিরবেন দেশীয় ছবির ‘সুপারস্টার’। এর আগে তিনি মুঠোফোনে এক সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।
এ সময় তিনি শিল্পী সমিতিকে ‘ভুয়া সংগঠন’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, শিল্পীরা কাজ করতে চান, তাদের কাজ করতে দিতে হবে। টানা ছয় বছর সভাপতি থাকা সত্ত্বেও কেন হঠাৎ করে শিল্পী সমিতিসহ সব সংগঠনকে বিদায় জানালেন বাংলাদেশি সুপারস্টার, সেটা অনেকের নিকট প্রশ্ন।
শাকিব খানের দাবি, ‘এখন বুঝতে পেরেছি, এসব সমিতি দিয়ে ছবি বানিয়ে কোনো লাভ নেই। তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র বাঁচাতে সরকারকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। সব ধরনের সমিতিকে এফডিসি থেকে বের করে নিতে হবে। কারণ, এফডিসি কোনো কর্মক্ষেত্র, রাজনীতি বা নির্বাচনের জায়গা নয়। কেউ নির্বাচন করলে এফডিসির বাইরে যেতে হবে।’
উল্লেখ্য, শাকিব খান বর্তমান সময়ের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, তার জনপ্রিয়তার স্থান এখনও তেমন কেউ নিতে পারেনি। তবে তিনি ঠিক কী কারনে যুক্তরাস্ট্রে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা জানা যায়নি। এরই মাঝে তিনি এই ধরনের মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছেন।