আজ দেশের প্রায় সকল ইউনিয়ন পর্যায় চলছে দূর্নীতি-অনিয়ম। এমনকি নিজের আখের গোছাতে পুলিশ রুলের পরিপন্থি কাজও করছে এমন কিছু পুলিশ কর্মকর্তারা, যাদের দেখে রীতিমতো অন্যদের অনুপ্রেরণা পাওয়ার কথা ছিল।
সম্প্রতি এবার জানা গেছে, জালিয়াতির অভিযোগে এবার চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের সুপার জাকের হোসেনকে। বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের (কারা-১ শাখা) উপ-সচিব তাহনিয়া রহমান চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে।
২০০৪ সালে জাকের হোসেন যশোর কারাগারে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার যোগসাজশে তিন আসামি যশোর জজকোর্টের জামিন জাল করে বের হয়ে যান। ওই ঘটনায় ১৭ বছর পর তিনি বরখাস্ত হলেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যশোর জেলা কারাগার থেকে জাল জামিন ব্যবহার করে তিনজন আসামি বের হওয়ার ঘটনায় হাইকোর্ট বিভাগের ক্রিমিনাল আপিল আদেশ মোতাবেক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে জাকের হোসেনকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালে তিনি আর্থিক বিধিবিধান মোতাবেক খোরাকি ভাতা পাবেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে হবিগঞ্জ কারাগারের জেলার জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া জানান, প্রজ্ঞাপনটি রোববার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পৌঁছায়। ফলে জাকের হোসেন ওই দিন পর্যন্ত কারাগারের জেল সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৬ জুলাই জাকের হোসেন জেল সুপার হিসেবে হবিগঞ্জে যোগদান করেন।
অপরাধ দমনের শপথ নিয়ে পুলিশের পোশাক গায়ে জড়িয়ে নিজেই নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া শুধু জাকের হোসেন জন্য নয়, সকল পুলিশের জন্যই লজ্জাজনক বলে দাবি করেছেন অনেকেই। যেখানে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে, উল্টো অপরাধীদের জেল থেকে বের হতে সাহায্য করে পুলিশ রুলের পরিপন্থি কাজ করেছেন তিনি।