বরগুনায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এক নিষিদ্ধ দ্রব্য ব্যাবসার সাথে জরিত এক ব্যাক্তি আটক করেছে স্থানীয় ডিভি পুলিশ। উক্ত আসামিকে হাতকড়া পরিয়ে তার ঘর তল্লাশি করছিল পুলিশ। এমত অবস্থায় কৌশল অবলম্ভন করে ঘটনা স্থল থেকে পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে বিষয়টি কিভাবে ঘটলো তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
বরগুনা সদর উপজেলায় ডিবি পুলিশের হাত থেকে শাহীন (৩৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী হাতকড়া পরা অবস্থায় পালিয়েছে। ঘটনার দুই দিনেও তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় দায়িত্বরত ডিবি পুলিশের এসআই আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নিষিদ্ধ দ্রব্য ব্যবসায়ী শাহিন বরগুনা সদর উপজেলার বাঁশবুনিয়া গ্রামের শহীদ হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার বরগুনা ডিবি পুলিশের ওসি আবিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৬ জুন রাত ১১টার দিকে নিষিদ্ধ দ্রব্য ব্যবসায়ী শাহিনকে ইয়া// বাসহ আটক করে জেলা ডিবি পুলিশ। এ সময় সে সুযোগ পেয়ে হাতকড়াসহ পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, পলাতক শাহীনকে গ্রেফতারের স্বার্থে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে।
সাত্তার নামের স্থানীয় এক সূত্রে জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ী শাহিনকে প্রায় ৬-৭ হাজার পিস ইয়া// বা ও ৬০ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। ডিবি তার বাড়িতে তল্লাশি চালালে আসামি হাতকড়া পড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। বরগুনা ডিবি পুলিশের ওসি আবিদুর রহমান জানান, পলাতক মাদক ব্যবসায়ী শাহিনকে আটক করা এখনও সম্ভব হয়নি, তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে মা// দকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ডিবি পুলিশের ইনচার্জ এসআই আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বরগুনায় ডিবি পুলিশের হাত থেকে হাতকড়া পড়া অবস্থায় এক আসামি পালানোর অভিযোগে মঙ্গলবার এসআই আলমগীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে বরগুনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক বলেন, আসামিরা কীভাবে হাতকড়া পড়ে পালিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পলাতক আসামি নিষিদ্ধ দ্রব্য ব্যবসায়ীর নাম শাহিন (৩৮)। সে সদর উপজেলার বাঁশবুনিয়া গ্রামের শহিদের ছেলে।