পদ্মা সেতু বাংলার মানুষের স্বপ্নের সেতু আর সেতু সম্প্রতি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে পুরোপুরিভাবে। পদ্মা সেতু জান চলাচলের জন্য খুলে দেবার পর গটেছে বেশ কয়েকটি অন আকাঙ্খিত ঘটনা যেগুলো আসলে মেনে নেওয়া যায়না। বাইক চালকদের নানারকম বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বাইক চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সেতু বিভাগ। সম্প্রতি জানা গেছে পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচল বন্ধ করে দেবার পরে পৌনে এক কোটি টাকা টোল আদায় কমেছে।
রোববার (২৬ জুন) সকালে যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হলে দিরভর বাইক চালকদের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের ফলে পরের দিন সকাল থেকে বাইক চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সেতু বিভাগ। এর ফলে প্রদ্ম সেতুতে প্রথম দিন যে টোল আদায় হয়েছে তা কমে এক-চতুর্থাংশে নেমেছে। অর্থাৎ টোল আদায় কমেছে প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
পদ্মা সেতুতে প্রথম দিন ৬১ হাজার গাড়ি পার হয়েছিল। এতে মোট টোল আদায় হয়েছিল ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রথম দিন সেতুতে বাইক চলাচল নিষিদ্ধ ছিল না। এদিন প্রতিটি মোটরসাইকেল ১০০ টাকা টোল দিয়ে পার হচ্ছিল।
কিন্তু বিশৃঙ্খলা এবং একটি দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর পর সোমবার সকাল ৬টা থেকে মোটর সাইকেলের সেতুতে ওঠা নিষিদ্ধ করা হয়।
পদ্মা সেতুতে টোল কমে যাওয়ার বিষয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, প্রথম ২৪ ঘণ্টায় যে সব যানবাহন পারাপার হয়েছে, তার মধ্যে ৭৫ ভাগই ছিল মোটর সাইকেল। গতকাল থেকে মোটর সাইকেল বন্ধ, তাই কমেছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে বাইকের সংখ্যা প্রচুর। পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য খুলে দেবার পরের দিন থেকে বাইক চালকরা অনেক অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা করে থাকে যার কারণে সেতু বিভাগ বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে এতে অনেক টাকা টোল পাচ্ছেনা থেকে সরকার।