উদ্বোধনের পরদিন অর্থাৎ ২৬শে জুন পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। কিন্তু পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। তবে প্রাথমিক অবস্থায় পদ্মা সেতুর উপর ভিড় ঠেকানোর জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। তবে কিছুদিন পর মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে পদ্মা সেতু এমনটি জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সাময়িক। তবে কবে থেকে যান চলাচল শুরু হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৬ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, মাওয়া শিমুলিয়া ঘাটে এখনও ৬টি ফেরি প্রস্তুত রয়েছে। বিভিন্ন যানবাহনে চাহিদা অনুযায়ী এসব ফেরি চলাচল করবে। শিগগিরই পদ্মা নদীতে ফেরি চলাচলের পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
পদ্মা সেতু হলেও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে লঞ্চ চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। তিনি আরও বলেন, লঞ্চ মালিকরা আরও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে লঞ্চটি পরিচালনা করবেন।
আজও সকাল থেকে মোটরসাইকেল পিকআপে পদ্মা সেতু পার হচ্ছে। ব্যবসাও জমজমাট। বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এদিকে স্বপ্নের সেতুতে স্বস্তির যাত্রা করছেন বড় গাড়ির চালক ও যাত্রীরা।
পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হলেও এখন পিকআপ ও ট্রাক দিয়ে পারাপার হচ্ছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তৃতীয় দিনে (২৬ জুন) স্বপ্নের সেতুতে স্বাচ্ছন্দ্যে যানবাহন চলাচল করছে। ব্রিজের চারপাশে এখনও মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ব্রিজের দুই পাশে এখন পুরোদমে চলছে বাইক ক্রসিং। সোমবার (২৬ জুন) বাইকাররা ফেরি পারাপার করলেও নাব্য সংকটের কারণে শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে বাইকাররা পড়েছেন বিপাকে, আর সেই সুযোগে অধিক পরিমাণ ভাড়া নিয়ে রমরমা ব্যবসায় নেমেছে পিকআপ চালকেরা। মোটরসাইকেল চালকেরা বলছেন, পদ্মা সেতু আমাদের জন্য গর্ব কিন্তু পদ্মা সেতু দিয়ে যেতে আমাদের চারগুণ বেশি পরিমাণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ফেরি শুধু বাইক নিয়ে যাচ্ছে ন। আমাদের এখন অনন্যোপায় হয়ে এইভাবে গাড়িতে করেই যেতে হচ্ছে।