প্রেমিকের প্রেমের টানে ছুঁটে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রেমিকা এমনই একটা ঘটনা ঘটেছে ভারতীয় এক স্কুল শিক্ষিকার জীবনে। সম্প্রতি এক স্কুল শিক্ষিকা পাকিস্তানে তার প্রেমিকাকে কাছে পেতে ভারত থেকে পাকিস্থানের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পাকিস্তান যাওয়ার সময়ে ভারত পাকিস্তান সিমান্তে প্রেমিকা আটক হয় পুলিশের হাতে। প্রেমিকা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পরপরই ঘটনাটি স্থানীয় জনপ্রিয় কিছু গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
২৪ বছর বয়সী এক ভারতীয় স্কুল শিক্ষিকাকে তার পাকিস্তানি প্রেমিকের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে এসে সীমান্তে আটক হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভি সোমবার জানিয়েছে যে শিক্ষক ফিজা খানকে ওয়াঘা সীমান্তে আটক করা হয়েছে। জানা গেছে, মেয়েটি মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার একটি স্কুল শিক্ষিকা। তিনি পাকিস্তানের লাহোরে এক যুবকের প্রেমে পড়েছিলেন। তাকে বিয়ে করার জন্য সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ফিজা। এরপর পুলিশ তাকে আটক করে। ফিজা খান এবং পাকিস্তানি যুবকের মধ্যে পরিচয় এবং পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপরই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন এই প্রেমিক জুটি। মেয়েটি নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে ভিসা নিয়ে তার পরিবারকে না জানিয়ে পাকিস্তান চলে যায়। মেয়েটির বাবা নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিমানবন্দর, রেলস্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে সংশ্লিষ্টদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ কর্তৃপক্ষ। ওয়াঘা সীমান্তে দায়িত্বরত ভারতীয় বাহিনীকেও নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। তাই যখনই মেয়েটি ওয়াঘায় পৌঁছায়, অফিসাররা তাকে হেফাজতে নিয়ে যায়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে সুরক্ষা বাহিনী প্রেমের গল্পটিকে একটি সংবেদনশীল সুরক্ষা সমস্যা হিসাবে বিবেচনা করেছিল এবং এটি মধ্যপ্রদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পদক্ষেপ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, ফিজা নামক এক স্কুল শিক্ষিকাকে ভারত পাকিস্তান সিমান্তে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাকিস্তানি এক যুবকের সাথে পরিচিত হন। পরবর্তীতে এই পরিচয়ের মাধ্যমেই তাদের ভিতরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রীতিমতো কাউকে কিছু না জানিয়েই পাকিস্থানের প্রেমিককে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে পাকিস্থানের উদ্দেশ্যে ভারত ত্যাগ করতে গিয়েছিলেন। তবে পারিবারিক ভাবে থানায় লিখিত অভিযোগের কারনে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া এবং দ্য ট্রিবিউন ইন্ডিয়া।