পদ্মা সেতুর বিরোধীতা করেছেন অনেকেই। সেতু নির্মাণের পূর্বে হয়েছে অনেক ষড়যন্ত্র যাতে করে পদ্মা সেতু সরকার করতে না পারে। পদ্মা সেতু দেশ ও দেশের জনগনের সম্পদ। আর এই সম্পদ করতে না দেওয়া বা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা আসলেই খুব নিন্দনীয় কাজ। সম্প্রতি জানা গেছে হাইকোর্ট বলেছেন পদ্মা সেতুর মত উন্নয়নের যারা বিরোধীতা করেছে তাদের চিহ্নিত করা দরকার।
পদ্মা সেতুকে জাতীয় সম্পদ ও আমাদের অহংকার উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেন, যারা এ জাতীয় স্বার্থ ও উন্নয়নের বিরোধিতা করে তারা জাতির শত্রু, দেশের শত্রু। তাদের চিহ্নিত করা দরকার। ”
পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির মিথ্যা কাহিনি তৈরির পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে সোমবার জারি করা রুলের শুনানিতে বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ হাইকোর্ট বেঞ্চে এ মন্তব্য করেন।
আদালত বলেন, “পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটা আমাদের গর্ব। যারা জাতীয় স্বার্থ ও উন্নয়নের বিরুদ্ধে, তারা জাতির শত্রু, দেশের শত্রু। তাদের চিহ্নিত করতে হবে।”
একপর্যায়ে আদালত পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য আগামীকাল (২৮ জুন) দিন ধার্য করেন। আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির মিথ্যা কাহিনি তৈরির পেছনে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কেন তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে না এবং দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে না কেন, তা জানতে চেয়ে ২০১৭ সালে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।
এদিকে শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকাল থেকে দেশের বৃহত্তম সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু ছিল বাংলার মানুষের স্বপ্ন। যে স্বপ্ন পূরণ করে বাংলাদেশের সরকার প্রধানমন্ত্রী জনেনত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন বীরত্বের পরিচয়। তিনি প্রমাণ করে দিয়ে গেছেন যে আমরাও কোনো অংশে কম না, আমরাও পারি। আসীম সাহসিকতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শত বাঁধা উপেক্ষা করে নির্মাণ করেছেন পদ্মা সেতু।