সামান্য সাইড দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারধরের শিকার হয়েছেন নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নজরুল রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষারের ব্যক্তিগত গাড়িচালক। এ ঘটনায় পরবর্তীতে নিজে বাদি হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নজরুল। আর এরই ধারাবাহিকতার মধ্যদিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের কৌশিক সরকার সাম্য নামে এক কর্মীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
পরে চালক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সাম্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আক্তার হোসেনের কর্মী মো.
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সামিয়ার ছবি থাকলেও আখতার হোসেন স্বীকার করেননি যে তিনি ছাত্রলীগের কর্মী। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকটি কর্মসূচিতে সমতা আসেনি। পদ্মা সেতু উদ্বোধন ও ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার সময় ছিল না। কেউ আমার সঙ্গে ছবি তুললে আমি তা মেনে নিতে পারি না। ‘
ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন হাওলাদার বলেন, পাশে দেওয়া নিয়ে ঝগড়ার জেরে নজরুলকে ধরে নিয়ে মা/রধ/র করা হয়। পরে ভিকটিম মা/ম/লা করেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ওয়ারী থানা থেকেই বিষয়টি জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির ছেলের সঙ্গে ফোনে তারা কথা বলে জেনেছেন- মামলাকারী তার গাড়িচালক।’
এদিকে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, গত প্রায় বছর দুইয়েক আগে শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল সাম্যকে। তবে এরপরও নিজেকে পরিবর্তন করতে পারেননি তিনি। একের পর এক অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন তিনি।