দেশ ও দেশের মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে অনেক অপমানজনক কথা নিরবে সহ্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সদা নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রেখে এগিয়ে গেছেন তিনি। আর এরই ফলস্বরূপ, আজ পদ্মার বুকে দৃশ্যমান স্বপ্নের পদ্মাসেতু। আর এই সেতু দেখতে দুর দুরন্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেকেই। ঠিক তেমনই পদ্মাসেতু দেখতে এসেছিলেন তারাও। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত বাড়ি ফেরার পথে এক দুর্ঘটনায় শিকার হতে হয় তাদেরকে।
বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে নৌ দুর্ঘটনার শিকার হন ২২ জন। কিন্তু পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ারের প্রচেষ্টায় তারা অল্পের জন্য বেঁচে যায়।
রোববার (২৬ জুন) সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২৫ জুন (শনিবার) পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে স্পিডবোটে করে ফেরার পথে হঠাৎ পদ্মা নদীর মাওয়া অংশে কয়েকজনকে ভাসতে দেখেন। পরে সচিব জানতে পারেন—একটি ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রী তারা। তারা প্রাণভিক্ষা চেয়েছিল।
সচিব অবিলম্বে বিচক্ষণতার সাথে অনুরোধে সাড়া দেন এবং তাদের উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। তিনি ফোনে কথা বলেন এবং কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে আরেকটি স্পিডবোট নিয়ে আসেন। এরপর তিনি একে একে ২২ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে আসেন।
কবির বিন আনোয়ার জানান, উদ্ধারকৃতদের বাড়ি ভোলার চর ফ্যাশনে। তাদের মধ্যে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
উদ্ধারকৃতদের পরিবারের সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগ করেন তিনি।
সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ারের দক্ষতায় ও বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপে প্রাণ বেঁচে যায় ২২ জনের। যা বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন প্রত্যক্ষদর্শী এবং সচিবের নিজ জেলা সিরাজগঞ্জের বাসিন্দারা।
এ যাত্রায় সকলেই প্রাণে বেচে গেছেন ঠিকই, কিন্তু এখনো আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না কেউ। এখনো তাদের চোখে মুখে যেন সেই ঘটনার ছাপ দেখা যাচ্ছে। এই দুর্ঘটনা থেকে তারা এভাবে বেচে ফিরতে পারবেন, তা যেন কখনো কল্পনাও করতে পারেননি তারা