দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও ভাইরাস ভীতি বিরাজ করছে। এই ভাইরাসের প্রকোপে গৃহবন্ধি হয়ে পড়েছে দেশের মানুষ। এমনকি থমকে গেছে জন-জীবনে সকল কার্ষক্রম। বিনোদন অঙ্গনের ব্যক্তিরাও কাজহীন হয়ে ঘরবন্ধী জীবন-যাপন করছে। তবে সম্প্রতি চলমান পরিস্তিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। এরই সুবাধে জীবন-যাত্রা সচল হয়েছে। তারকা ব্যক্তিরাও কাজে ফিরেছে। কাজে ফিরে নিজের অনূভূতি প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী পূর্ণিমা।
করোনার বিরতির পর আবারও কাজে ফিরেছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। এরই মধ্যে কাজ করেছেন একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে। এছাড়াও অংশ নিয়েছেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের ‘গাঙচিল’ সিনেমার শুটিংয়ে। কাজে ফেরার প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘মনে হলো, বন্দিজীবন থেকে মুক্ত হয়েছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেকদিনই তো ঘরবন্দি ছিলাম। অপেক্ষায় ছিলাম কাজে ফেরার। পরিকল্পনা করে নির্মাতা নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের “গাঙচিল”র বাকি কাজের শিডিউল ঠিক করেছি। এবারে টানা শুটিং করে ছবিটির কাজ শেষ করার ইচ্ছে আছে।’ অমিতাভ রেজার ‘মুন্সিগিরি’ ওয়েব ফিল্মে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন? জানতে চাইলে পূর্ণিমা বলেন, ‘এটি আমার অভিনীত প্রথম ওয়েব ফিল্ম। অভিজ্ঞতা অন্যরকম ছিল। অমিতাভ রেজা দারুণ একজন পরিচালক। তাছাড়া এর সুবাদে প্রায় ১৩ বছর পর চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করলাম। এর আগে “বুনো ফুলের ঘ্রাণ” নামে একটি টিভি নাটকে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলাম। যা ২০১৫ সালের রোজার ঈদে প্রচার হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সব মিলিয়ে দারুণ একটি কাজ হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়েব ফিল্মটি মুক্তি পাবে। এরই মধ্যে এর টিজার ও ট্রেলার প্রকাশ হয়েছে। সেগুলো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাই বেশ ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। ফলে আশা করছি, দর্শকদের কাছে “মুন্সিগিরি” ভালো লাগবে।’ উপস্থাপনার খবর জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি পেশাদার উপস্থাপক নই। তবে উপস্থাপনা ভালো লাগে বলেই মাঝেমধ্যে করি। আপাতত নতুন কোন খবর নেই।’
বাংলাদেশের ব্যপক জনপ্রিয় এবং সুপরিচিত মুখ পূর্ণিমা। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের বিনোদন অঙ্গে কাজ করছেন। তিনি অসংখ্য নাক সিনেমায় কাজ করেছেন। এমনকি উপস্থাপিকা হিসেবেও বেশ পারদর্শী তিনি।তার রয়েছে অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী।