সম্প্রতি পদ্মাসেতুর ওপরের নাট খোলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরপরই রীতিমতো সারা-দেশজুড়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে ইতিমধ্যে ঐ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মো. বাইজীদ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরপরই তার বিরুদ্ধে একের এক উঠে আসছে নানা অবাক করা তথ্য
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মনে করছে, সেতুর ওপরের রেলিংয়ের ইস্পাতের পাতের সংযোগস্থলের নাট খোলা নিছক খেয়ালের ছলে হয়নি; এটা পরিকল্পিত।
প্রাথমিক তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মো. বাইজীদ নাশকতার প্রচেষ্টায় জড়িত থাকতে পারে।
পদ্মা সেতুতে যানজটের দিন রোববার রেলিংয়ের বাদাম খোলার ভিডিও টিকিট ছড়িয়ে দেওয়ার পর সন্ধ্যায় সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হয় ওই যুবক। পরে জানা যায়, তিনি বাইজীদ তালহা নামে পরিচিত হলেও তার জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল মো. বাইজীদ।
সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান বলেন, বাইজীদ তার পরিকল্পনা অনুযায়ী সেতুর ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে নাট খুলে দেন। তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারায় মামলা করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাদী হবেন থানা কর্তৃপক্ষ।
বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারা ‘নাশকতা’ কার্যকলাপের ব্যাখ্যা এবং শাস্তির সাথে সম্পর্কিত।
এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ ছাড়া যাবজ্জীবন বা ১৪ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে আইনে।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর তদন্ত চালিয়ে তার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ন তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জানা যায়, মো. বাইজীদ একজন ছাত্রদল নেতা। পদ্মাসেতুর ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।