পদ্মা সেতু তৈরী করাকে কেন্দ্র করে নানা প্রকার আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে কোন বাধা-বিপত্তিকে তোয়াক্কা না করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সাহসি ভূমিকা পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের ব্যবসায়ীক নতুন দ্বার খুললো দক্ষিন অঞ্চলে। পদ্মা সেতু কে কেন্দ্র করে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দৃষ্টান্ত তৈরী হল। এবার পদ্মা সেতুতে বিএনপির নেতারা উঠলে ফেলা দেওয়া হবে কিনা এমন আতঙ্কের কথা জানালেন বিএনপি সাংসদ হারুনুর রশীদ।
পদ্মা সেতু পার হওয়ার পর তাকে ফেলে দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। রোববার একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
হারুন বলেন, আমন্ত্রণের পরও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শাহজাহান খান পদ্মা সেতুতে না উঠতে বিএনপিকে পরামর্শ দেন। দয়া করে আপনারা কেউ পদ্মা সেতু পার হবেন না। যদিও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্য পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে তৈরি হচ্ছে, এমন বক্তব্যের বিপরীতে তিনি এই কথা বলেন।
হারুন পরে বাজেট আলোচনায় জবাব দেন। এর আগে তিনি পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন। সেতু দিয়ে পদ্মা পারাপার হচ্ছে মানুষ। তাই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
শাহজাহান খানের বক্তব্যের উল্লেখ করে হারুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী সেতু উদ্বোধনের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন আর একজন সংসদ সদস্য বলছেন পদ্মা ব্রিজে উঠবেন না। তাহলে আমরা কী করব? আমার পাশে ফিরোজ রশীদ, পেছনে নিক্সন চৌধুরী আছেন।
কয়েক দিন আগে তারা আমাদের দাওয়াত দিয়ে বলেছেন, সেতু উদ্বোধনের পরে আমাদের বাড়িতে যাবেন। দাওয়াত দিলাম। কিন্তু শাহজাহানের কথায় ভয়ের মধ্যে আছি! বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতুতে না উঠার জন্য বিএনপির নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামীলীগ সাংসদ কিন্তু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রন জানিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন সাংসদ হারুনুর রশীদ। সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেন আমরা বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছি।