পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন জড়ো হয়েছিল লাক্ষ লাক্ষ মানুষ। মানুষ বুকের মধ্যে আনন্দের সীমাহীন অনুভব নিয়ে এখনো ছুটে চলছে পদ্মা সেতুকে খুব কাছ থেকে একবার দেখার জন্য। ছোটো ছেলে মেয়ে থেকে শুরু করে বৃদ্ধারাও যাচ্ছে পদ্মা সেতু দেখতে। সম্প্রতি জানা গেছে আরো একটি খবর। পদ্মা সেতুতে টিকটকারদের নাচে মুগ্ধ নেটিজেনরা।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৬ জুন) সকাল ৬টা থেকে বহুল প্রতীক্ষিত এই স্থাপনা দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল শুরু হয়।
শরীয়তপুরের জাজিরা টোল প্লাজার সামনে গভীর রাত থেকে অপেক্ষা করছেন অনেকে। পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ে ইদ্দত শেষ হয়। এদিকে দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে উৎসুক মানুষের ভিড়। দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমে লাইভে একজন মহিলা টিকারের মনোমুগ্ধকর নাচের দৃশ্যটি ভাইরাল হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ওই নারীকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে টিকার ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। ভিডিওটি শেয়ার করে এমআই মমিন নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, সেতুতে শুটিং শুরু হয়েছে। নির্দেশ বড়ুয়া নামে আরেকজন নেটিজেন মন্তব্য করেছেন যে জরিমানা হিসাবে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করা দরকার ছিল। আরিফ সরকার লিখেছেন, মানসিক ভারসাম্যহীন সব টিক্স প্রতিবন্ধী। তুহিন লিখেছেন, তাদের পাবনার মানসিক হাসপাতালে রাখা দরকার।
প্রথম পদ্মা সেতু পারাপার হওয়ায় অনেকেই আনন্দ প্রকাশ করেছেন। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসেছে ভবিষ্যতের সাক্ষী হতে। তাদের ফুলে উঠতে দেখা গেছে। যাত্রী ও পরিবহন চালকরা পদ্মা সেতুকে ধারণক্ষমতার প্রতীক হিসেবে দেখছেন, দীর্ঘ যন্ত্রণার শেষ নদী। নির্ধারিত মূল্যে টোল নিয়ে সেতু পার হওয়ার উৎসব ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে। অনেকেই মোটরসাইকেলে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, টিকটকাররা এবার মতালেন তাদের নিজেদের ভিন্নধর্মী কার্যকলাপের দ্বারা। তারা সেখানে গিয়ে এক প্রকার মাতিয়ে তুলেছে সেখানের পরিবেশকে। পদ্মা সেতু দেখতে মানুষ বলতে গেলে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। শত বছরের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়াতে মানুষ আর এক সেকেন্ডও দেরি না করে ছুটে চলছে পদ্মা সেতুতে।