গতকাল ২৫ শে জুন উদ্বোধন হয়ে গেল স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। আর এই উদ্বোধনের মাধ্যমে উন্মুক্ত হলো পদ্মা সেতুতে যান চলাচল। অনেকে পদ্মা সেতুতে নিজেকে ইতিহাস করে গড়ে তুলতে আগেভাগে এসে টোলপ্লাজায় হাজির হন। গতকাল থেকে গাড়ির চাপ বেড়ে যায় টোলপ্লাজায়। কারণ পদ্মা সেতুতে নিজেদের স্বপ্নপূরণের জন্য অনেকেই পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে প্রথম পার হওয়ার অনুভূতি পেতে চান।
সাধারন যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। তবে রোববার সকাল ৮টায় সেতুটি খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও ‘যানবাহনের চাপ’ থাকায় ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে টোল আদায় শুরু হয় এবং যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবুল হোসেন দেশের একটি গনমাধ্যমকে বলেন, “শনিবার রাত ১০টা থেকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে শতাধিক যানবাহন আসতে শুরু করে। সকাল ৬টায় টোল প্লাজা থেকে গাড়ি ছাড়ার কথা ছিল। টোল প্লাজা দিয়ে ভোর ৬টায় গাড়ি ছাড়ার কথা ছিলো। তবে গাড়ির অতিরিক্ত চাপ থাকায় ২০ মিনিট আগেই ছাড়তে হয়েছে।’
ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে একটি টয়োটা প্রাইভেট কার প্রথম টোল নিয়ে টোল প্লাজা অতিক্রম করে। প্রথম গাড়ি নিয়ে টোল প্লাজা পার হতে পেরে খুশি গাড়ির মালিক শেখ মোহাম্মদ রবিউল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পর টোল দিয়ে টোল প্লাজা পার হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। সাধারণ জনগণের মধ্যে আমি সবার আগে পদ্মা সেতু দিয়ে পার হওয়ার জন্য রাত ১০টা থেকে জাজিরা প্রান্তে এসে অপেক্ষায় ছিলাম। আমি খুশি যে আমার প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।’
এদিকে কালের সাক্ষী হতে রোববার সকাল থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসেছেন। তাদের উচ্ছ্বাস করতে দেখা গেছে। নদীপথে দীর্ঘ দুর্ভোগের পর পদ্মা সেতুকে সামর্থ্যের প্রতীক হিসেবে দেখছেন যাত্রী ও পরিবহন চালকরা। এদিন সরকার নির্ধারিত মূল্যে টোল দিয়ে সেতু পার হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব বিরাজ করছে। অনেকেই মোটরসাইকেলে পদ্মা সেতু পার হচ্ছেন।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে অনেক বেগ পেতে হয়। কারণ একটি মহল পদ্মাসেতুর বাস্তবায়নের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। বিশ্ব ব্যাংক থেকে যাতে অর্থায়ন না পায় সেজন্য চক্রান্ত শুরু করে একটি মহল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত বাস্তবে রূপ পেল পদ্মা সেতু। আজ সেতুর উপর দিয়ে শুরু হলে যান চলাচল, যা দেশের মানুষের কাছে একটি স্বপ্ন পূরণের মতো বিষয়।