Sunday , November 24 2024
Breaking News
Home / International / মেয়ের চিকিৎসার একটি ওষুধের মুল্য ১৯ কোটি টাকা, যোগাড় করতে বাবার ভিন্ন পথ অবলম্বন

মেয়ের চিকিৎসার একটি ওষুধের মুল্য ১৯ কোটি টাকা, যোগাড় করতে বাবার ভিন্ন পথ অবলম্বন

রুকাইয়া, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ মিশরের ১ বছর বয়সী ১১ মাস বয়সী একটি মেয়ে। রুকাইয়ার এই কম বয়সেই একটি জটিল রোগ তার শরীরে বাসা বেধেছে। রুকাইয়া তার মেরুদণ্ডের একটি জটিল রোগে ভুগছে যার নাম মেরুদণ্ডের পেশীবহুল অ্যাট্রোফি। তার এই রোগের জন্য চিকিৎসার যে প্রক্রিয়া সেটা অনেক ব্যায় বহুল এমনটাই জানিয়েছিলেন সংশ্লীষ্ট চিকিৎসক।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ মিশরের ১ বছর বয়সী ১১ মাস বয়সী শিশু রুকায়া মেরুদণ্ডের একটি জটিল রোগে ভুগছে যাকে বলা হয় স্পাইনাল পেশীবহুল অ্যাট্রোফি। এই রোগ থেকে সেরে উঠতে হলে তাকে দুই বছর বয়স হওয়ার আগেই ইনজেকশন দিতে হবে। শিশুটিকে বাঁচাতে চিকিৎসক তাকে জোলজেনসমা নামক একটি ইনজেকশন দিতে বলেন। তবে এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ ও ইনজেকশন। সুইজারল্যান্ডের নোভারটিস ফার্মাসিউটিক্যালস শুধুমাত্র এটি উত্পাদন করে। ইনজেকশনটির দাম ২.১ মিলিয়ন ডলার যেটা বাংলাদেশী টাকায় ১৯ কোটি টাকারও বেশি। তবে একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে রুকাইয়ার বাবা সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন করেন। তার অনুরোধে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মিশরীয় ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসেন। তারা ওষুধের জন্য ১৯ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছে! কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই শিশুদের জন্য তাদের সমাবর্তন বাতিল করেছে। সমাবর্তনের টাকা তারা রুকাইয়াকে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ছোট্র রুকাইয়ার একজন সাধারন বাবার ঘরে জন্ম নিয়েছে। তার ১বছর১১মাস বয়সেই শরীরে বাসা বেঁধেছে জটিল এক রোগ যার চিকিৎসার খরচ বহন করা অসম্ভব তার বাবার পক্ষ্যে। ফলে মেয়েকে বাচাতে চিকিৎসার খরচ উঠাতে সাধারন জনগনের কাছে সহযোগীতার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। রুকাইয়ার বাবার এই আবেদনে অভাবনীয় সারা পেয়েছে। অবশেষে রুকাইয়ার চিকিৎসার কার্যক্রম চলমান।

সূত্র: আল আরাবিয়া

About Syful Islam

Check Also

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিকের অভিযোগ, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দাবি তোলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *