দীর্ঘদিন প্রেমের পর দুই পরিবারের সম্মতিতে এলমা চৌধুরী মেঘলা নামে এক ঢাবি শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ইফতেখার আবেদীন। কিন্তু দাম্পত্য জীবনের মাত্র কয়েক মাস পরেই অনেক খুটিনাটি বিষয়টি নিয়ে এলামকে নির্যাতন শুরু করে ইফতেখার। আর এরই ধারাবাহিকতার মধ্যদিয়ে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসায় প্রাণ হারাণ এলমা।
এদিকেএ ঘটনার বিচার চেয়ে এলমা চৌধুরী মেঘলার বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নির্যাতন সইতে না পেরে মেয়েটি আমার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। জীবন বাঁচাতে ঘর থেকে বের হন। তবু বাঁচতে দেওয়া হয়নি। ইফতেখার থেকে এসে তিন দিন ধরে তাকে নি/র্যা/ত/ন করা হয়। এলমাকে নানাভাবে /নি/র্যা/ত/ন করা হয়। আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে //হ//ত্যা/ করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। ”
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর বনানীতে স্বামীর বাড়িতে মারা যান মেঘলা। ওই রাতেই মেঘলার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। আসামি করা হয় মেঘলার স্বামী ইফতেখার আবেদীন, শ্বশুর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আমিন ও তার শাশুড়ি শিরিন আমিনকে।
গত ৩১ মে ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) কাজী শরিফুল ইসলাম ইফতেখার আবেদীনের বিরুদ্ধে আ/ত্ম/হন/নেয প্ররোচনার অভিযোগে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ইফতেখার সৎ বাবা। আমিন ও তার মা শিরিন আমিনকে অভিযুক্ত করা হয়নি এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের মুক্তির আবেদন করেন।
আগামী ২০ জুন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মামলাটির শুনানির দিন ধার্য ছিল। ওই দিনই ইফতেখার ও তার মা ও বাবা আত্মসমর্পণ করে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন। আদালত ইফতেখারের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে ইফতেখাতের বাবা-মাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
এদিকে মেঘলার বাবা ডিবি পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র নাকচ করে দিয়েছেন। অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আবেদন করেন মেঘলার বাবা। আগামী ৩ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সাইফুল ইসলাম বলেন, চার্জশিট দিয়েছেন ড. তারা আমাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য নেয়নি। আমাদের কোন কথাই শোনেনি। মেঘলাকে নির্যাতনের ভিডিও আমাদের কাছে আছে। নথি বাকি. আমাদের কাছে প্রমাণ আছে যে তাকে হত্যা করা হয়েছে। মেঘলা আত্ম/হ/নন/ করেনি। তাকে পরিকল্পিতভাবে /হ//ত্যা/ করা হয়েছে। আমরা অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব। ”
সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, তার মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করেন কানাডা প্রবাসী ইফতেখার। এরপর দিনের পর এলামার ওপর নির্যাতন করতে থাকে সে। আর এরই জের ধরে এলমাকে পরিকল্পিতভাবে /হ//ত্যা/ করে ইফতেখার।