পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজ খুলে গেল সমগ্র দেশের আরেক দুয়ার, অর্থাৎ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন সড়ক পথেই যুক্ত হলো। যার কারণে উন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত হলো বহু গুন। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের দিনেই ফের ওয়াদা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ দেশ আপনাদের, এ দেশ আমাদের। স্বাধীনতা দিয়ে চলে গেছেন জাতির পিতা। এ দেশকে গড়ে তুলবো উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে। খাদ্য, বাসস্থান, বিদ্যুতের মতো সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিনত হয়েছে। আরও উন্নত জীবন যেন আমাদের ছেলেরা পায় তার ব্যবস্থা আমি করব। আজকে আপনাদের কাছে— এটিই আমার ওয়াদা।
শনিবার দুপুর ১টার পর শিবচরের কাঁঠালবাড়িতে এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, আমরা ২০০১ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম।” খালেদা জিয়া এসে তা বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা ২০০৯ সালে সরকারে এসে আবার পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করি। তখন তারা কী বলল? বলেছিল, আওয়ামী লীগ কখনো পদ্মা সেতু করতে পারবে না। খালেদা জিয়াকে বলি— আসুন দেখে যান পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে কিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা, মা, ভাই- সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদেরকে পেয়েছি। আপনাদের মধ্যে আমি আমার বাবার স্নেহ, আমার মায়ের স্নেহ এবং আমার ভাইয়ের স্নেহ পেয়েছি। আমি আপনাদের পাশে আছি আপনাদেরর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমি যেকোন ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত— এই ওয়াদা আমি দিয়ে গেলাম। আমি আপনাদের জন্যই প্রয়োজনে আমার নিজের জীবনটা দেব।
তিনি আরও বলেন, আমি গরীব, আমি নি:স্ব, আমার আপনাদের দেবার কিছু নেই, শুধু ভালোবাসা আছে, তাই দিয়ে গেলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। আবার দেখা হবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে সুদুরপ্রসারি পরিকল্পনা করেছেন। এই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে বিরোধী দলের অনেককে মনে মনে হলেও স্বীকার করতে হলো যে, তিনি প্রকৃতপক্ষে একজন দেশপ্রেমী নেত্রী। তিনি দেশের জন্য অনেক অনেক বৃহৎ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। দেশকে সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত শুধু তিনি নির্বাচনী ইশতেহারে দেননি, তিনি তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন একের পর এক।