Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / একাধিক বিয়ে, স্ত্রীদের নিয়ে খারাপ ছবি তৈরি করতেন ইউপি চেয়ারম্যান, জানা গেল শেষ পরিনতি

একাধিক বিয়ে, স্ত্রীদের নিয়ে খারাপ ছবি তৈরি করতেন ইউপি চেয়ারম্যান, জানা গেল শেষ পরিনতি

সম্প্রতি এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তার নিজের ছেলেই করলেন অভিযোগ। এই বিষয় নিয়ে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে ঝাড়ুপেটা ও করনে এলাকাবাসী । ঘটনার কারণ সম্পর্কে একটু খোজ খবর নিলে জানা যায়, ছোট টিনের ঘর। খুব পরিচিত একজন পুরুষ মুখ সাবধানে হাঁটছে। একজন বৃদ্ধ মহিলা ঘটনাস্থলে আসেন। পরের দৃশ্য গর্জে ওঠে। কয়েক মিনিটের এমন ভাইরাল ভিডিওতে এখন সোচ্চার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল।

ঘটনার নায়ক-নায়িকারা স্বামী-স্ত্রী। এই তথ্য এখন হাজির. অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সময় স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে প/ র্নোগ্রা/ ফি আইনে মামলাও করা হয়েছে। পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। নানা ঘটনায় উত্তেজনার পারদ বাড়ছে।

গতকাল নৈতিক স্খলনের অভিযোগ তুলে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরের অপসারণের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছে নারীরা। যে ভিডিওটি কয়েক মিনিট আগে ভাইরাল হয়েছিল ৭ দিন আগে। প্রায় এক বছর আগের ঘটনা বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ সময় ভিডিওটি ধারণ করা হয়। চেয়ারম্যান কোথায় এ কাজ করেছেন তা তিনিই বলতে পারবেন। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের ছেলে সাইফুল ইসলাম ঠাকুর রাব্বির দায়ের করা মামলার জবানবন্দিতে ভাইরাল ভিডিওতে চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে থাকা ওই নারীর পরিচয় জানা গেছে। তাকে চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

উপজেলার চুনতা ইউনিয়নের চুনতা গ্রামের সৈয়দ আলীর মেয়ে মরিয়ম বেগমের সঙ্গে রফিক উদ্দিন ঠাকুরের বিয়ের সনদ নিয়েও মামলা করা হয়েছে। মামলার জবানবন্দিতে, রাব্বি অভিযোগ করেন যে তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কের সময় গোপনে তার বাবার ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন এবং প্রচার করেছিলেন। মামলা ও দ্বিতীয় স্ত্রী: ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক ঠাকুর সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ভিডিওটি এডিট করে মাথা নিচু করেছেন। সে এর কিছুই জানে না। এটা তার শত্রুদের কাজ। আর গতকাল তিনি মানবজমিনকে বলেন, এটা সম্পূর্ণ তার পারিবারিক বিষয়। আমি 2016 সালে তাকে বিয়ে করেছি। পরিবারের সবাই এটা জানে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ৩ দিন পর দায়ের করা মামলায় ওই নারীকে তার স্ত্রী বলে উল্লেখ করা হয়। ২০১৬ সালের ২ মার্চ আশুগঞ্জের আড়াইসিধায় তাদের বিয়ে হয়। এদিকে ভাইরাল ভিডিওর বিষয়ে প্রথমে ২২ জুন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, রফিক উদ্দিন ঠাকুর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এলাকায় তার ব্যাপক সুনাম রয়েছে। মামলার বাদী চেয়ারম্যানের ছেলে রাব্বি এজাহার জানান, ২০১৬ সালের ২ মার্চ ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক তার বাবা মরিয়ম বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। মাঝেমধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। তার বাবার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য অজ্ঞাতনামা আসামিরা তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে গোপন মুহূর্তের গোপন দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *