হঠাৎ করেই বাংলাদেশের সরকার দেশের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমিয়ে দিয়েছে। এরই সুবাধে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। অবশ্যে সরকারের এমন ঘটনায় ক্ষুব্দ হয়েছে আমানতকারীরা। এবং অর্থনীতিবীদরাও সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এদিকে সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কারন জানালেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বেশি লাভের আশায় বড় অংকের টাকা কেউ সঞ্চয়পত্রে ফেলে রাখুক, সরকার তা চায় না বলেই সুদের হার কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, যেভাবে সুদের হার কমানো হয়েছে, তাতে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র বিনিয়াগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। সুদের হার তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় সঞ্চয়পত্রে যে চাপ পড়ছে, তাতে অর্থনীতির অন্যান্য চালিকাশক্তিগুলো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এই ইনস্টুমেন্টটি আমরা রেখেছি, সাধারণত পেনশনার যারা তাদের জন্য এবং যারা আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তাদের জন্য। কিন্তু এখন আমরা লক্ষ্য করলাম, তুলনামূলকভাবে সুদের হার বেশি হওয়ার কারণে এখন সবাই এখানে চলে আসছে। ফলে আমাদের অর্থনীতির অন্যান্য চালিকাশক্তিগুলো, এগুলো অচল হয়ে যাচ্ছে।” প্রতি বছর বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকারকে যে টাকা ঋণ নিতে হয় তার একটি অংশ আসে ব্যাংক থেকে, আর একটি অংশ সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে জনগণের কাছ থেকে ঋণ নেয়। মেয়াদ শেষে সুদসহ সেই টাকা সরকারকে ফেরত দিতে হয়।
দেশে কয়েকটি ধরনের সঞ্চয়পত্রের ব্যবহার রয়েছে। তবে পারিবারিক এবং পেনশিয়ান ক্ষেত্রের সঞ্চয়পত্রের আমানতকারীরা বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে। বিশেষ করে দেশের অসংখ্য মধ্যবৃত্তরা বেশি বিপাকে পড়েছে। অবশ্যে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানিয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সরকার।